দেশের শীর্ষ সন্ত্রাস দমন শাখা এনআইএ সূ্ত্রের খবর, ধরা পড়া আইএস মডিউলে মোট নয়জন সদস্য ছিল। তাদের বেশিরভাগই লখনউ ও কানপুরের বাসিন্দা।
লখনউয়ের ঠাকুরগঞ্জের যে বাড়িতে সইফুল্লা মারা গিয়েছে সেটি কয়েকমাস আগে আইএসের এই সেলটি ভাড়ায় নিয়েছিল। বাড়িটির মালিক দেশের বাইরে মধ্যপ্রাচ্যে কাজ করেন।
উত্তরপ্রদেশ পুলিশের এটিএসের সঙ্গে ওই বাড়িতে লুকিয়ে থাকা জঙ্গি সইফুল্লার গতকাল দুপুর সাড়ে ৩টে থেকে শুরু হয় গুলির লড়াই। ১২ ঘণ্টা ধরে চলা লড়াই শেষে মৃত্যু হয় ওই জঙ্গির। তাকে জীবিত ধরার চেষ্টা করেন কম্যান্ডোরা। কিন্তু সইফুল্লা আত্মসমর্পণ করতে রাজি হয়নি। ওই বাড়িটি থেকে অস্ত্রশস্ত্র ছাড়াও আইএসআইএসের পতাকা ও ট্রেনের টাইম টেবিলও উদ্ধার করা হয়েছে।
সূত্রের খবর, আইএসের এই মডিউলের মূল মাথা আতিফ মুজফ্ফর। গতকালই মধ্যপ্রদেশে ট্রেনে বিস্ফোরণের ঘটনার পর আতিফ সহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে সইফুল্লা ও আরও দুজনের কথা জানা যায়। এরপরই কানপুর থেকে দুজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
ধৃত ও নিহত প্রত্যেকেরই বয়স ২০-র কোটায়। ঘটনা তদন্তে এনআইএ ভোপাল ও লখনউয়ে দল পাঠিয়েছে। এনআইএ সূত্রে খবর, এই জঙ্গি সেলের তিনজন অস্ত্র যোগানদার ছিল।