লখনউ ও নয়াদিল্লি: মধ্যপ্রদেশের সাজাপুর জেলায় ট্রেনে বিস্ফোরণ দেশে প্রথম আইএসআইএস হামলা বলে মনে করা হচ্ছে। এই বিস্ফোরণের সূত্র ধরেই উত্তরপ্রদেশের লখনউয়ে গুলি বিনিময়ে একটি বাড়িতে আত্মগোপনকারী আইএস জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। কুখ্যাত জঙ্গি সংগঠন আইএসের সদস্যের সঙ্গে এটাই দেশে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলি বিনিময়। এই ঘটনা দেশে আইএসের বাড়বাড়ন্তের দিকেই ইঙ্গিত দিয়েছে। সাজাপুরে ট্রেনে দুর্ঘটনার ঘটনায় মধ্যপ্রদেশ ও কানপুর থেকে পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই জঙ্গিরা এক মাসের মধ্যে দেশে বড়সড় নাশকতার ষড়যন্ত্র করছিল বলে গোয়েন্দা সূত্রে খবর। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক তদন্তকারী বলেছেন, গতকাল ট্রেনে বিস্ফোরণ ছিল নাশকতায় ‘মহড়া’ মাত্র। এভাবে তারা উত্তরপ্রদেশের বরাবাঁকির এক সুফি ধর্মস্থানে হামলার প্রস্তুতি নিয়েছিল।
দেশের শীর্ষ সন্ত্রাস দমন শাখা এনআইএ সূ্ত্রের খবর, ধরা পড়া আইএস মডিউলে মোট নয়জন সদস্য ছিল। তাদের বেশিরভাগই লখনউ ও কানপুরের বাসিন্দা।
লখনউয়ের ঠাকুরগঞ্জের যে বাড়িতে সইফুল্লা মারা গিয়েছে সেটি কয়েকমাস আগে আইএসের এই সেলটি ভাড়ায় নিয়েছিল। বাড়িটির মালিক দেশের বাইরে মধ্যপ্রাচ্যে কাজ করেন।
উত্তরপ্রদেশ পুলিশের এটিএসের সঙ্গে ওই বাড়িতে লুকিয়ে থাকা জঙ্গি সইফুল্লার গতকাল দুপুর সাড়ে ৩টে থেকে শুরু হয় গুলির লড়াই। ১২ ঘণ্টা ধরে চলা লড়াই শেষে মৃত্যু হয় ওই জঙ্গির। তাকে জীবিত ধরার চেষ্টা করেন কম্যান্ডোরা। কিন্তু সইফুল্লা আত্মসমর্পণ করতে রাজি হয়নি। ওই বাড়িটি থেকে অস্ত্রশস্ত্র ছাড়াও আইএসআইএসের পতাকা ও ট্রেনের টাইম টেবিলও উদ্ধার করা হয়েছে।


সূত্রের খবর, আইএসের এই মডিউলের মূল মাথা আতিফ মুজফ্ফর। গতকালই মধ্যপ্রদেশে ট্রেনে বিস্ফোরণের ঘটনার পর আতিফ সহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে সইফুল্লা ও আরও দুজনের কথা জানা যায়। এরপরই কানপুর থেকে দুজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
ধৃত ও নিহত প্রত্যেকেরই বয়স ২০-র কোটায়। ঘটনা তদন্তে এনআইএ ভোপাল ও লখনউয়ে দল পাঠিয়েছে। এনআইএ সূত্রে খবর, এই জঙ্গি সেলের তিনজন অস্ত্র যোগানদার ছিল।