নয়াদিল্লি: কাশ্মীরের ত্রালে সেনার হাতে খতম হল তিন জয়েস ই মহম্মদ জঙ্গি। এদের মধ্যে একজন পাকিস্তানি, বাকিরা স্থানীয় বাসিন্দা। জানা গিয়েছে, এরা ফের অমরনাথ তীর্থযাত্রীদের ওপর হামলার ছক কষেছিল।


যে পাক জঙ্গি মারা পড়েছে তার নাম হোসেন ভাই। বাকি দুজন হল মুখতিয়ার বামেদ ও পারভেজ আহমেদ। এক মাস ধরে এরা ত্রালের জঙ্গল ভরা পাহাড়ের ওপর ৪০ ফুট লম্বা এক গুহায় গা ঢাকা দিয়েছিল। এনকাউন্টারের পর গুহা তল্লাশ করতে গিয়ে অবাক হয়ে যায় সেনা। এখানে থাকা খাওয়ার রীতিমত ভাল বন্দোবস্ত ছিল। আরও এক মাসের খাবারদাবার ছিল, সোফা ছিল, শোয়ার জন্য ম্যাট্রেস এমনকী পর্দাও টানা ছিল।

গুহা থেকে উদ্ধার হয়েছে ৩টি এ কে ৪৭ রাইফেল সহ বহু অস্ত্রশস্ত্র।

এনকাউন্টারের সময় পাক জঙ্গির ওপর ছোঁড়া হয় এলপিজি সিলিন্ডার। তখন সে হাতে গ্রেনেড নিয়ে গুহার বাইরে বার হলে তাকে খতম করে দেওয়া হয়। বাকি দুজনকে গুহা থেকে বার করতে কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে সেনা। তারপর তারাও দাঁড়াতে পারেনি বুলেটের সামনে।

কিছু দিন আগে ত্রালেই লস্কর পান্ডা আবু দুজানা ও জাকির মুসার মধ্যে গোপন বৈঠক হয়। এই ৩ জঙ্গিও সেই বৈঠকে ছিল বলে মনে করা হচ্ছে। ঠিক হয়, অমরনাথ যাত্রীদের ওপর ফের হামলা হবে। ত্রালে হিজবুল এখন দুর্বল, জয়েস ই মহম্মদ সেই জায়গা দখলের চেষ্টা করছে।

গত মাসে ত্রালে সিআরপিএফের দুটি ছাউনিতে গ্রেনেড হামলা চলে। তাতে ১২ জন জওয়ান জখম হন। আজ খতম হওয়া জঙ্গিরাই ওই হামলা চালায় বলে জানা গিয়েছে।