মুম্বই: বিরোধী মত পোষণ করলেই হত্যা করার প্রবণতা খুবই বিপজ্জনক এবং এতে দেশের বদনাম হয়। গতমাসে বেঙ্গালুরুতে সাংবাদিক গৌরি লঙ্কেশকে খুনের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে এই মন্তব্য করেছে বম্বে হাইকোর্ট। আদালত আরও বলেছে, উদার মতামত ও মূল্যবোধের প্রতি কোনও শ্রদ্ধাই নেই।
নিহত দুই যুক্তিবাদী নরেন্দ্র দাভোলকর ও গোবিন্দ পানসারের আত্মীয়দের দায়ের করা পিটিশনের শুনানির সময় এই মন্তব্য করে বিচারপতি এস সি ধর্মাধিকারী ও  বিচারপতি বিভা কঙ্কনবাদির ডিভিশন বেঞ্চ। ওই পিটিশনে দাভোলকর ও পানেসরের হত্যার ঘটনার তদন্তে আদালতের পর্যবেক্ষণের আর্জি জানানো হয়।
বিচারপতি ধর্মাধিকারী বলেছেন, ‘আরও অনেককেই কি নিশানা করা হবে? উদার মূল্যবোধ ও মতামতের প্রতি কোনও শ্রদ্ধাই নেই। উদারনৈতিক আদর্শের জন্য আরও অনেকেই নিশানা হচ্ছেন। শুধু চিন্তাবিদরাই নন, যে ব্যক্তি ও সংগঠন উদারনৈতিক আদর্শে বিশ্বাস করেন, তাঁরাই নিশানা হতে পারেন। এটা কিছুটা এমন যে কেউ আমার বিরোধী হলে তাকে খতম করে দিতে হবে’।
উল্লেখ্য, ২০১৩-র ২০ আগস্ট দাভোলকরকে পুনেতে গুলি করে হত্যা করা হয়। ২০১৫-র ১৬ ফেব্রুয়ারি কোলাপুরে গুলিবিদ্ধ হন পানসারে। চারদিন পর হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। দাভোলকর ও পানসারে মামলায় সিবিআই এবং মহারাষ্ট্র সিআইডি তাদের তদন্ত রিপোর্ট জমা দিয়েছে।
আদালত বলেছেন, তদন্তকারীরা প্রকৃতই চেষ্টা করেছেন। কিন্তু এটা বাস্তব যে, প্রধান অভিযুক্ত এখনও ফেরার।
বেঞ্চ বলেছে, আরও অনেক মূল্যবান প্রাণ হারাতে হবে বলেই মনে হচ্ছে। সমমনোভাপান্ন আর একজন বেঙ্গালুরুতে খুন হলেন।
গত ৫ সেপ্টেম্বর লঙ্কেশকে তাঁর বাড়ির বাইরে খুন করে অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীরা।
আদালত বলেছে, অভিযুক্ত ব্যক্তি বা সংগঠন যদি নিজেদের ক্ষমতাবান বলে মনে করে তাহলে তাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করতে হবে তদন্ততকারী সংস্থাগুলিকে।