আমদাবাদ: অ্যাম্বুলেন্স পাননি, তাই ১২ বছরের ছেলের দেহ কাঁধে নিয়েই ফিরলেন বাবা। দানা মাঝিদের ছবিটা যে শুধু একটা ভৌগলিক সীমানায় আটকে নেই, তা আবারও প্রমাণ করে দিল গুজরাতের ডাঙ জেলার ভাগাইয়ের ঘটনা।

সূত্রের খবর, ভাগাইয়ের সরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় উপজাতি অধ্যুষিত দাহোদ জেলার ১২ বছরের ছেলে মিনেশের। কিন্তু হাসপাতাল থেকে কোনও অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করা হয়নি। তাই কাঁধে ছেলের দেহ নিয়েই ফিরলেন শোকার্ত বাবা। ওই ব্যক্তির নাম কেশু পাঁচরা। তিনি পেশায় লেবার। চিকিতসকরা জানিয়েছেন, মৃত অবস্থাতেই মিনেশকে আনা হয়েছিল হাসপাতালে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ছবি ভাইরাল হওয়ার পরই চাঞ্চল্য ছড়ায়। ঘটনাটির সত্যতা যাচাই করে গুজরাত সরকার। ওই পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে সাহায্যের আশ্বাস দেয় তারা। সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ওই হাসপাতালের কোনও শববাহী গাড়ি ছিল না। বেশি টাকা দয়ে প্রাইভেট গাড়ির ব্যবস্থা করার সামর্থ্য ছিল না পাঁচরার। তাই কাঁধে ছেলের দেহ নিয়েই বাড়ি ফিরে আসেন তিনি।

খবর জানাজানি হতেই ওই পরিবারকে সাহায্যের আশ্বাস দেয় স্থানীয় প্রশাসন। শেষকৃত্যে নিয়ে যাওয়ার জন্য গাড়ির ব্যবস্থাও করে দিয়েছে তারা।

প্রসঙ্গত, কেশু পাঁচরার গল্পের সঙ্গে অনেকটাই মিল রয়েছে ওড়িশার দানা মাঝির। অ্যাম্বুলেন্স না পেয়ে স্ত্রীর মৃতদেহ কাঁধে নিয়ে দীর্ঘ পথ হেঁটে বাড়ি ফেরেন তিনি। সঙ্গে ছিল তাঁর ১২ বছরের মেয়েও।