রায়পুর: ২০ বছরের এক আদিবাসী তরুণীকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠল ১০ জনের বিরুদ্ধে। অভিযুক্তদের মধ্যে আবার দুজন নাবালক! মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে ছত্তিসগড়ের জশপুর জেলায়।


পুলিশ জানিয়েছে, গত ৫ সেপ্টেম্বর এক পুরুষ সঙ্গীর সঙ্গে কাইকাছাড় ও হাতকাতলা গ্রামের মধ্যবর্তী জঙ্গল দিয়ে আসছিলেন নির্যাতিতা। সেই সময় অভিযুক্তরা তাঁর ওপর চড়াও হয়।


তরুণী তাঁর বয়ানে জানিয়েছেন, গ্রামের কাছেই তাঁদের পথ আটকায় অভিযুক্তরা। ভয় পেয়ে তিনি ও তাঁর সঙ্গী দুজনে ভিন্ন দিকে দৌড় দেন।


তরুণীকে পাঁচজন তাড়া করে। প্রথমে তাঁকে বেদম মারা হয়। তারপর চলে নারকীয় অত্যাচার। কিছুক্ষণ পর, দুই নাবালক সহ বাকি পাঁচজন সেখানে পৌঁছে যায়। তারাও তরুণীর ওপর পাশবিক অত্যাচার চালায়।


তরুণী জানান, অত্যাচারের ফলে তিনি জ্ঞান হারান। সেই সময় অভিযুক্তরা তাঁকে ছোট নদীর ধারে ফেলে রেখে পালায়। প্রায় ১৫ ঘণ্টা সেখানেই পড়েছিলেন তরুণী।


জ্ঞান ফেরার পর তিনি সেখান থেকে উঠে কোনওক্রমে প্রায় তিন কিলোমিটার হেঁটে বাড়ি পৌঁছন। গোটা ঘটনা বাড়িতে জানালে, তাঁরা চারদিন পর, অর্থাৎ ৯ তারিখ পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন।


তরুণীর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ৮ জনকে গ্রেফতার করে। ২ নাবালককেও আটক করা হয়। জানা গিয়েছে, দুজনই অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গণধর্ষণ ও হত্যার চেষ্টার ধারায় মামলা দায়ের করা হয়।


আদালতে পেশ করা হলে বিচারক ৮ জনকে জেল হেফাজত এবং ২ নাবালককে জুভেনাইল হোমে পাঠিয়ে দেন।