নয়াদিল্লি: প্রায় মাসখানেক পর ফের সংসদ চত্বরে ধর্নায় নামল তৃণমূল কংগ্রেস। স্বল্প সঞ্চয়ে সুদ কমানোর প্রতিবাদে বুধবার সংসদের গাঁধী মূর্তির সামনে প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভ দেখালেন তৃণমূল সাংসদরা। যদিও, লোকসভা ও রাজ্যসভা মিলিয়ে তৃণমূলের অর্ধেক সাংসদও বুধবারের ধর্নায় উপস্থিত ছিলেন না। নারদার ফুটেজে যেসব তৃণমূল সাংসদদের দেখা গিয়েছিল, তাঁদের মধ্যে একমাত্র সৌগত রায়কেই এদিনের ধর্নায় দেখা যায়। দলের প্রতিবাদ নিয়ে এদিন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, স্বল্প সঞ্চয়ের সুদ কমিয়েছে মোদী সরকার। কর্পোরেটদের ছাড় দেওয়া হচ্ছে, কিন্তু গরীব মানুষের দিকে নজর নেই।
যদিও, তৃণমূলের এই বিক্ষোভকে পাত্তা দিতে নারাজ বিজেপি। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়র পাল্টা কটাক্ষ, এই কয়েকদিন দিল্লিতে খুব গরম পড়েছিল, কাল রাতে বৃষ্টিতে একটু ঠান্ডা পড়েছে, তাই ধর্নায় নেমেছে।
১ এপ্রিল থেকে সাধারণ সেভিংস অ্যাকাউন্ট থেকে শুরু করে মাসিক সঞ্চয় প্রকল্প, পিপিএফ, ফিক্সড ডিপোজিট, রেকারিং ডিপোজিট থেকে সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিম, সুকন্যা সমৃদ্ধি প্রকল্প--সবক্ষেত্রেই সুদ কমিয়েছে কেন্দ্র। এর বিরুদ্ধে একযোগে সরব হয়েছে বিরোধীরা। প্রকাশ্য সভায় মোদী সরকারকে একাধিকবার আক্রমণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
কিন্তু নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড় বিজেপি। বাবুলের মতে, আমাদের দেশের আর্থিক পরিস্থিতি জানে না তৃণমূল। লোনের ওপর সুদে হার কমানো হয়েছে। ব্যাঙ্কগুলো কোথা থেকে টাকা দেবে? আমার কাছে এলে বুঝিয়ে বলব।
কিন্তু স্বল্প সঞ্চয়ে সুদ কমানোর ইস্যুতেই এখন বিজেপির বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলতে মরিয়া তৃণমূল। একদিকে জনসভা থেকে মোদী সরকারকে আক্রমণ শানাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। অন্যদিকে, সংসদে সরব হচ্ছে রাজ্যের শাসকদল। বাংলাকে যখন টার্গেট করেছে বিজেপি, তখন পাল্টা আক্রমণের পথে তৃণমূল কংগ্রেস।