নয়াদিল্লি: লোকসভার পরীক্ষায় ঊত্তীর্ণ হওয়ার পর বুধবার সংসদের উচ্চকক্ষে পেশ হতে চলেছে তাৎক্ষণিক তিন তালাক বিরোধী বিল।


গত সপ্তাহে ধ্বনিভোটের মাধ্যমে বিলটি পাস হয় নিম্নকক্ষে। প্রস্তাবিত বিলে তাৎক্ষণিক তিন তালাক বা তালাক-এ-বিদ্দতকে অবৈধ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। এই আইনের আওতায় স্ত্রীকে তাৎক্ষণিক তিন তালাক দিলে, স্বামীর তিন বছরের হাজতবাসের সংস্থান রয়েছে প্রস্তাবিত বিলে।


প্রস্তাবিত বিলে তাৎক্ষণিক তিন তালাকের শিকার হওয়া মুসলিম মহিলাদের বেশ কিছু অধিকারও দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে—সংশ্লিষ্ট মহিলা নিজের ও নাবালক সন্তানদের জন্য স্বামীর কাছ থেকে খোরপোশের দাবি করতে ম্যাজিস্ট্রেটের দ্বারস্থ হতে পারবেন। পাশাপাশি, তিনি সন্তানদের হেফাজতের আবেদনও করতে পারবেন।


প্রস্তাবিত বিল অনুযায়ী, যে কোনও আকারে—তা সে মৌখিক হোক বা লিখিত অথবা ফোন, ইমেল, এসএমএস ও হোয়াটসঅ্যপের মতো বৈদ্যুতিন মাধ্যমে পাঠানো তাৎক্ষণিক তিন তালাককে বেআইনি ও অবৈধ হিসেবে বিচার্য হবে।


বিলের বিরোধিতায় ইতিমধ্যেই সোচ্চার হয়েছে ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লিগ। তাদের দাবি, রাজ্যসভায় এই বিল পাস হলে বিভিন্ন মুসলিম সংগঠন সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হবে।


তবে, রাজ্যসভায় বিল পাস হওয়া নিয়ে চাপে শাসক শিবির। কারণ, বিজেপি সেখানে এখনও সংখ্যালঘু। ফলে, বিরোধীরা চেষ্টা করবে বিলকে স্ট্যান্ডিং কমিটিতে পাঠাতে।


ইতিমধ্যেই রাজ্যসভার সর্ববৃহৎ দল কংগ্রেস জানিয়ে দিয়েছে, অন্যান্য বিরোধী দলগুলির সঙ্গে আলোচনা করেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে তারা। সূত্রের খবর, রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা কংগ্রেসের গুলাম নবি আজাদ এদিন দলীয় তথা অন্যান্য বিরোধী সাংসদদের সঙ্গে নিজের ঘরে বৈঠক করেন।


সূত্রের মতে, কংগ্রেস এই বিলের পক্ষপাতী। তবে, স্ট্যান্ডিং কমিটিতে বিল পাঠানো হবে কি না, তা নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে বিরোধী দলগুলির সঙ্গে আলোচনার পরই। আরও জানা গিয়েছে, কংগ্রেস এই বিলে কিছু সংশোধনের দাবি করতে পারে। যেমন, মুসলিম মহিলাদের রক্ষণাবেক্ষণের খরচ বহন করতে হবে এবং ডিভোর্সের ক্ষেত্রে স্বামীদের প্রমাণ করতে হবে যে, তিন তালাক দেওয়া হয়নি।