তিন তালাক বিলটি মহিলা ক্ষমতায়নে সাহায্য করবে না বলে দাবি করেন তিনি। বিলের বিরোধিতায় তিনি সওয়াল করেন, এতে একটি দায়রা ভুলের অপরাধকরণ সহ বেশ কিছু কঠোর বিধি রয়েছে, যা কংগ্রেস সহ বিরোধী দলগুলির কাছে কোনওভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
এদিকে বিজেপি দলীয় সাংসদদের কাল সভায় থাকা বাধ্যতামূলক করে হুইপ জারি করেছে।
আলাপ্পুঝার কংগ্রেস সাংসদ বলেন, কংগ্রেস ও বাকি বিরোধীদের প্রবল বাধায় সরকার বিলটিকে তার মৌলিক চেহারায় রাজ্যসভায় পাশ করাতে পারেনি। সেজন্যই অর্ডিন্যান্স এনে লোকসভায় ফের বিলটি পেশ করল সরকার। কিন্তু রাজ্যসভায় বিলটিকে তার বর্তমান চেহারায় পাশ করানোর বিরোধিতা করবে কংগ্রেস।
২০১৯ এর লোকসভা ভোটের পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রের সরকার চটজলদি তিন তালাক বিল লোকসভায় পাশ করাতে চায় বলে আগেও দাবি করেছিল কংগ্রেস। বিলটি সংবিধানের পরিপন্থী, মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করছে বলেও তাদের অভিযোগ। আরও বিশদে খুঁটিয়ে দেখার জন্য সংসদের যৌথ সিলেক্ট কমিটিতে বিলটি পাঠানোর দাবি করছে বিরোধীরা।
গত বৃহস্পতিবারই সরকার বিরোধী শিবিরের এই অভিযোগ খারিজ করে যে, একটি বিশেষ সম্প্রদায়ই এই বিলের নিশানা। সেটি পেশ করে রবিশঙ্কর বলেন, বিল নিয়ে কোনও রাজনীতি হওয়া উচিত নয়, সেটি কোনও বিশেষ সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধেও নয়।
তিন তালাক বিলটি লোকসভায় গৃহীত হওয়াকে মুসলিম মহিলাদের মর্যাদা, সাম্য নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ বলে উল্লেখ করে 'কয়েক দশকের' অবিচারের জন্য কংগ্রেসের ক্ষমা চাওয়া উচিত বলে দাবি করেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ।
সেপ্টেম্বরে জারি হওয়া অর্ডিন্যান্সের বদলি হিসাবে ১৭ ডিসেম্বর লোকসভায় পেশ হয় নতুন তিন তালাক বিলটি যাতে তাত্ক্ষনিক তিন তালাক ঘোষণা বেআইনি গণ্য করে মুসলিম স্বামীর তিন বছর কারাবাসের বিধি রয়েছে। এর আগেও লোকসভায় একটি বিল পাশ হয়, যেটি রাজ্যসভায় আটকে রয়েছে বিরোধীদের বাধায়। আপত্তির মুখে সরকার জামিনের সংস্থান সহ কয়েকটি সংশোধন করে যাতে তা আরও গ্রহণযোগ্য নয়। তবে রাজ্যসভায় বিলের বিরোধিতা বহাল থাকায় সরকার সংশোধনীগুলি ঢুকিয়ে গত সেপ্টেম্বরে অর্ডিন্যান্স জারি করে।
এর মধ্যেই আজ অল ইন্ডিয়া মুসলিম উইমেন পার্সনাল ল বোর্ড তিন তালাক বিল আইনে পরিণত হলে বহু পরিবার ধ্বংস হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে জানাল, এর বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামবে তারা। সংগঠনের নেত্রী শাইস্তা অম্বর বলেছেন, কোরান অনুসারে আইন হওয়া উচিত। কিছুটা বোঝাপড়ার রাস্তা খোলা রাখা উচিত। তালাক তখনই হয় যখন সব রাস্তাই বন্ধ হয়ে যায়। প্রস্তাবিত আইন যদি মানুষের সুরাহার পরিবর্তে শাস্তিদানের হাতিয়ার হয়ে ওঠে, তবে আমরা আন্দোলনে নামব।