সম্বল (উত্তরপ্রদেশ): মাত্র ১০ দিন হল বিয়ে হয়েছে। পাত্রের বয়স ৪৫, পাত্রীর ২২। কোনও একটি ব্যাপারে ঝগড়া হয় দুজনের। রাগে একবারে তিন তালাক উচ্চারণ করে স্ত্রীকে তার গ্রামের বাপের বাড়ি চলে যেতে বলে স্বামী। মেয়েটির পরিবার তুর্ক পঞ্চায়েতের শরনাপন্ন হয়।

গতকাল সম্বলের রাইসাতি এলাকার মাদ্রাসা খালিল-উল-উলুমে তুর্ক পঞ্চায়েত বসে। হাজির ছিলেন ৫২ জন সদস্য। পঞ্চায়েত একবারে তিন তালাক উচ্চারণে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে একসুরে। স্বামীর ২ লক্ষ টাকা জরিমানা হয়। সঙ্গে সঙ্গে জরিমানা দেয় সে।

তুর্ক সম্প্রদায়ের মহাপঞ্চায়েতের কোঅর্ডিনেটর শাহিদ হুসেন জানান, বিয়ের সময় পাত্রীর বাড়ি থেকে পণ ও অন্য যেসব সামগ্রী উপহার দেওয়া হয়েছিল, সব তাকে ফিরিয়ে দিতেও সাহায্য করে মহাপঞ্চায়েত। পাশাপাশি স্ত্রীকে ৬০ হাজার টাকা 'মেহর' বাবদ দিতেও নির্দেশ দেয় স্বামীকে।

হুসেন জানান, মহাপঞ্চায়েতের সিদ্ধান্ত, কোনও অবস্থাতেই একবারে তিন তালাক দেওয়া চলবে না। স্বামী, স্ত্রীর ঝামেলা বিবাহ বিচ্ছেদের দিকে গড়ালে প্রথমে একবার তালাক বলা উচিত। দ্বিতীয়বারও তালাক উচ্চারণ করা যেতে পারে। তবে প্রথম ও দ্বিতীয়বারের মাঝের সময়কালে বিরোধ মিটিয়ে ফেলার চেষ্টা করা উচিত দুপক্ষের।

এই ঘটনার ক্ষেত্রে স্বামী তিন তালাক উচ্চারণের বৈধতা প্রমাণই করতে পারেনি। হুসেন বলেন, অন্যায় করেছেন উনি। আমরা এ ধরনের সামাজিক কুপ্রথা বন্ধে তত্পর হয়েছি। পণ, তিন তালাক নিয়ে কেউ পঞ্চায়েতের সিদ্ধান্ত না মানলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তুর্ক মহাপঞ্চায়েত কয়েকদিন আগেই একতরফা ডিভোর্সের রীতি নিষিদ্ধ করেছে। তার আগে পণ, অতিরিক্ত জাঁকজমক, ধুমধাম করে বিয়ে, সামাজিক অনুষ্ঠানে ডিজেদের প্রচণ্ড শব্দে গান বাজানো বন্ধ করতেও উদ্যোগী হয় তারা।