নয়াদিল্লি: তিন তালাক নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়কে স্বাগত জানাল বিজেপি ও কংগ্রেস। বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ এই রায়তে ঐতিহাসিক আখ্যা দিয়েছেন। অন্যদিকে, কংগ্রেস এই রায়কে প্রগতিশীল বলে মন্তব্য করেছে।


এদিন মুসলিম সমাজে বিবাহবিচ্ছেদের জন্য প্রচলিত ৩ তালাক প্রথাকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করেছে শীর্ষ আদালত।

অমিত শাহ বলেছেন, এই রায় ঐতিহাসিক এবং এর ফলে দেশের কোটি কোটি মুসলিম মহিলা আত্মমর্যাদা ও সমতার ভিত্তিতে জীবনযাপনের অধিকার পেলেন। সর্বোচ্চ আদালতে তিন তালাক ইস্যুতে একটি স্পষ্ট অবস্থান নেওয়ার জন্য বিজেপি সভাপতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রশংসা করেছেন।

বিজেপির সাধারণ সম্পাদক ভূপেন্দ্র যাদব বলেছেন, এই রায়ের ফলে মুসলিম মহিলাদের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হল। সুপ্রিম কোর্টের রায় মুসলিম মহিলাদের সংবিধানে উল্লেখিত মৌলিক অধিকার সুরক্ষিত করল।

কংগ্রেস বলেছে, সুপ্রিম কোর্টের এই রায় প্রগতিশীল। সমস্ত শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষই এই রায়কে স্বাগত জানাবেন।

কংগ্রেস সহ সভাপতি রাহুল গাঁধী সুপ্রিম কোর্টের রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন। টুইট বার্তায় ন্যায়বিচারের দাবিতে যে সব মহিলারা লড়াই করছেন, তাঁদের অভিনন্দন জানিয়েছেন তিনি।

কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা বলেছেন, তাত্ক্ষণিক তিন তালাক বা ‘তালাক-ই-বিদাত’ আসলে তালাক প্রথার ‘বিচ্যূতি ও বিকৃতি’।

সুপ্রিম কোর্টের এই রায়কে অস্পৃশ্যতা দূরীকরণের সঙ্গে তুলনা করে কংগ্রেস নেতা মণীষ তিওয়ারি বলেছেন, মুসলিম মহিলাদের মৌলিক অধিকারের পক্ষে ক্ষতিকারক একটা অধ্যায়ের বিলুপ্তি ঘটল।

তিওয়ারি বলেছেন, সংবিধানপ্রণেতারা সংবিধানের গোড়াতেই একটি ধারা অন্তর্ভূক্ত করে অস্পৃশ্যতার বিলুপ্তি ঘটিয়েছিলেন। সংবিধানের ১৭ নম্বর ধারায় বিষয়টি উল্লেখিত রয়েছে। তখন কেউ বলতেই পারতেন যে, অস্পৃশ্যতা হিন্দুধর্মের বিশ্বাসের সঙ্গে জড়িত। কিন্তু সংবিধান প্রণেতারা গঠনমূলক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েছিলেন।তেমনি বিচারবিভাগের সিদ্ধান্ত মুসলিম মহিলাদের অধিকারের পক্ষে ক্ষতিকারক একটি বিষয়ের অবলুপ্তি ঘটাল।