আগরতলা: # ধনপুর কেন্দ্রে জিতলেন মানিক সরকার। মানিক সরকার পেলেন ২২,১৭৬ ভোট। জয়ের ব্যবধান ৫৪৪১ ভোট।


# মানিক সরকারের কেন্দ্রে ফের শুরু হল ভোটগণনা।


# ত্রিপুরার ধনপুর কেন্দ্রে স্থগিত ভোটগণনা। ধনপুর কেন্দ্রে প্রার্থী বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার। ৪ হাজারেরও বেশি ভোটে এগিয়ে মানিক সরকার। কনট্রোলিং ইউনিটে সই করলেন না বিজেপির পোলিং এজেন্ট। ধনপুর কেন্দ্রে পুনর্নির্বাচনের দাবি বিজেপির। নির্বাচন কমিশনে নালিশ সিপিএমের।


# ত্রিপুরার ধনপুর আসনে আবার এগিয়ে গেলেন সিপিএমের তারকা প্রার্থী, মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার।


বামেদের পক্ষে অশনিসঙ্কেত। ধনপুর আসনে পিছিয়ে পড়েছেন দলের ২০ বছরের মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার। ফলে মনে করা হচ্ছে, উত্তর পূর্বাঞ্চলের দীর্ঘদিনের এই লাল দুর্গ এবার গেরুয়া ঝড়ের শিকার হবে।


মানিক সরকারের জনপ্রিয়তা নিয়ে ত্রিপুরায় বিরোধীদের মধ্যেও প্রশ্ন ছিল না। মূলত তাঁর ভাবমূর্তির ওপরেই ভর করে এবার ভোট বৈতরণী পার হওয়ার ভরসা করেছিল বামেরা। ভোটপ্রচারেও মূলত তাঁকেই আক্রমণ করে বিরোধীরা, খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর নাম করে বলেন, মানিক নয়, এবার হিরে আনুন। কিন্তু সিপিএমের ভরসা ছিল মানিকবাবুর অমলিন ভাবমূর্তি ও কাজের মানুষ পরিচয়ের জেরে এবারেও দখলে রাখা যাবে ত্রিপুরা।


যে ধনপুর আসনের দিকে এখন তাকিয়ে গোটা দেশ, তা সিপাহিজালা জেলার পাহাড় ও ধানক্ষেতে ঘেরা একটি কেন্দ্র। এখানে মূলত থাকেন হিন্দু, মুসলমান ও উপজাতি সম্প্রদায়। বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া এই ধনপুর দীর্ঘদিন ধরে মানিক সরকারের গড়। এখান থেকে পঞ্চমবার জয়ের আশা নিয়ে ভোটে দাঁড়ান তিনি। তবে এবার আর কংগ্রেস নয়, তাঁর মুখ্য প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি, আর শেষ ফলাফল আসা পর্যন্ত মানিকবাবু মোটেই স্বস্তিতে নেই।


বিজেপি এখানে দাঁড় করিয়েছে তাদের প্রদেশ সাধারণ সম্পাদক প্রতিমা ভৌমিককে। এ নিয়ে দ্বিতীয়বার তিনি দাঁড়ালেন মানিকবাবুর বিরুদ্ধে। এর আগে ১৯৯৮-এ প্রতিমাদেবী মানিকবাবুর বিরুদ্ধে ভোটে হেরে যান। কিন্তু এবার তাঁর সব হিসেব ওলটপালট করার আশা।