দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার কার্তি, ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়ের বয়ানে আরও বিপাকে, প্রশ্নের মুখে পড়তে পারেন পি চিদম্বরমও!
ওয়েব ডেস্ক, এবিপি আনন্দ | 01 Mar 2018 12:34 PM (IST)
নয়াদিল্লি: দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হওয়া পি চিদম্বরমের ছেলে কার্তিকে আজ পেশ করা হবে আদালতে। এদিকে আইএনএক্স মিডিয়ার প্রাক্তন প্রধান ইন্দ্রানী মুখোপাধ্যায়ের দেওয়া বয়ানে প্রশ্নের মুখে পি চিদম্বরমের ভূমিকা। এমনকি কার্তি চিদম্বরমকে আরও বিপাকে ফেলেছে ইন্দ্রানীর বয়ান। প্রসঙ্গত, ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়ের দেওয়া এক বয়ানের ওপর ভরসা করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। গতবছর ম্যাজিস্ট্রেটকে দেওয়া বয়ানে ইন্দ্রাণী জানান, তিনি এবং তাঁর স্বামী পিটার মুখোপাধ্যায় বিদেশী বিনিয়োগে ছাড়পত্র পাওয়ার জন্যে সেইসময়ের তৎকালীন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমের সঙ্গে নর্থ ব্লকে দেখা করেন। এমনকি ইডি-র সামনে জেরার সময়ও এই একই কথা বলেন ইন্দ্রাণী এবং তাঁর স্বামী। এদিকে এই বয়ান সংবাদমাধ্যমের সামনে ফাঁস হয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে অভিষেক মনু সিঙভি বলেন, এভাবে বিচারকের সামনে না বলে, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা পুরো তথ্য সংবাদমাধ্যমের সামনে ফাঁস করে দেওয়ার বিষয়টা মোটেই সমর্থনযোগ্য নয়। তারপরই সিঙভির প্রশ্ন, তাহলে কার্তিকে গ্রেফতার কেন করা হল? ইন্দ্রাণী এবং কার্তিকে মুখোমুখি বসে জেরা করলেই পুরো বিষয়টা জানা যেত। প্রসঙ্গত, ইন্দ্রাণী এবং পিটারের বয়ান অনুযায়ী, পি চিদম্বরম তাঁদের সেই সাক্ষাতে বলেছিলেন, তাঁরা যদি কার্তিকে ব্যবসায় সাহায্য করেন, তাহলে বিদেশী বিনিয়োগের ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে। শুধু তাই নয়, মুখার্জি দম্পতি তাঁদের বয়ানে জানিয়েছেন, কার্তির সঙ্গে তাঁরা নয়াদিল্লির হোটেল হায়াতে দেখা করেন। সেখানে তাঁদের থেকে এক মিলিয়ন ডলার নগদ চাওয়া হয়। সূত্রের খবর, প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীকে ইন্দ্রাণীর বয়ান এবং যে নগদের ভাউচারগুলো উদ্ধার হয়েছে, তার ভিত্তিতে জেরাও করতে পারে সিবিআই। ইন্দ্রাণী তাঁর বয়ানে আরও বলেন, বিদেশে, ৭০০, ০০০ ডলার কার্তির সংস্থার জন্যে দেন তিনি। এই বয়ানের ভিত্তিতেই যে সমস্ত মাধ্যমে টাকা দেওয়া হয়েছিল, সেই সবকিছু খতিয়ে দেখবে সিবিআই। প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীকে এপ্রসঙ্গে এসএমএস করে জিজ্ঞেস করা হলে, তিনি কোনও জবাব দেননি। সিবিআই সূত্রে খবর, ইন্দ্রাণী যে সংস্থাকে ওই টাকা দেয়, সেটার পরোক্ষে মালিক ছিলেন কার্তিই। এরমধ্যে রয়েছে দিয়াগো স্কটল্যান্ড নামে এক সংস্থাও।