ইটানগর: সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে কংগ্রেসই অরুণাচলে ক্ষমতা দখল রাখতে চলেছে। বিদ্রোহী নেতা কালিখো পুল দলবল নিয়ে কংগ্রেসে ফিরে এসেছেন। সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপে মুখ্যমন্ত্রিত্ব ফিরে পাওয়া নাবাম টুকি পদত্যাগ করেছেন, তাঁর জায়গায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিধানসভায় সরকারপক্ষের নেতা নির্বাচিত হয়েছেন পেমা খান্ডু। নেতাবদলের যে প্রক্রিয়া চলেছে, তাতে বিদ্রোহী বিধায়করা সমেত মোট ৪৪জন কংগ্রেস বিধায়ক যোগ দেন, ছিলেন বিদ্রোহীদের নেতা কালিখো পুলও। ফলে মনে করা হচ্ছে, ভোটের আগে বিদ্রোহীদের সঙ্গে কোনওভাবে বোঝাপড়া করেছে কংগ্রেস। আর সেই বোঝাপড়ারই ফলশ্রুতি হিসেবে মুখ্যমন্ত্রিত্ব হারিয়েছেন নাবাম টুকি।


অর্থাৎ, ৫৮ সদস্যের বিধানসভায় ৪৪জনই কংগ্রেসের পক্ষে থাকায় আজ আস্থাভোটে জিততে তাদের কোনও সমস্যা না হওয়ার কথা। উল্টোদিকে বিজেপির রয়েছেন ১১জন বিধায়ক, নির্দল ২জন। স্পিকার নাবাম রেবিয়াকে নিয়ে কংগ্রেসের বিধায়কসংখ্যা ৪৫ ছুঁয়ে ফেলছে।

কালিখো পুলের নেতৃত্বে ২১জন কংগ্রেসি বিধায়ক নভেম্বরে বিদ্রোহ করেন নাবাম টুকি সরকারের বিরুদ্ধে। বিজেপির সমর্থন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসেন কালিখো পুল। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ক্ষমতা ফিরে পেলেও নাবাম টুকি সরকার বিধানসভায় রীতিমত সংখ্যালঘু ছিল। মুখ্যমন্ত্রী পদে রদবদল ঘটিয়ে বিদ্রোহীদের তারা আবার কাছে টানতে পেরেছে বলে মনে করা হচ্ছে।