চন্ডীগড়: নিজেদের ১০ বছরের ভাগ্নীকে ধর্ষণে দোষী সাব্যস্ত দুই ভাইয়ের যাবজ্জীবন কারাবাস হল। যৌন নিগ্রহে মেয়েটি গর্ভবতী হয়ে পড়েছিল। সুপ্রিম কোর্ট গর্ভপাতের আর্জি খারিজ করায় গত আগস্টে একটি সন্তান প্রসব করে কিশোরী।

এদিন যাবজ্জীবন কারাবাস ঘোষণার পাশাপাশি দুই ধর্ষক ভাইকে মাথাপিছু ৩.০৫ লক্ষ টাকা জরিমানার নির্দেশও দেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক পুনম আর জোশী।

সরকারি কৌঁসুলি অতুল শেঠি বলেন, মৃত্যুর দিন পর্যন্ত ওরা জেলে থাকবে। এটা দারুণ সিদ্ধান্ত এবং যারা এমন জঘন্য অপরাধ করে, তাদের এই রায় থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত। জরিমানার ৬ লক্ষ টাকা ধর্ষিতাকে ক্ষতিপূরণ বাবদ দেওয়া হবে, বাকি ১০ হাজার টাকা যাবে সরকারি কোষাগারে। গত ৩১ অক্টোবর আদালত কিশোরীর দুই মামাকে ধর্ষণে দোষী সাব্যস্ত করে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ (২) (এফ) (আই)১৩ ধারা (১২ বছরের কম মেয়েকে ধর্ষণ) ও শিশুদের ওপর যৌন অত্যাচার রোধ আইনের (পকসো)সেকশন ৬-এর (শারীরিক মিলনে যৌন নিগ্রহ) আওতায় অভিযুক্ত করা হয়েছিল তাদের।

গত জুলাইয়ে মেয়েটি পেটে ব্যাথা অনুভব করায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরই তার ধর্ষণের বিষয়টি সামনে আসে। পরীক্ষায় ধরা পড়ে, সে ৩০ সপ্তাহের ওপর গর্ভবতী। ২৮ জুলাই তার ৩২ সপ্তাহের গর্ভ নষ্ট করে ফেলার আবেদন খারিজ করে দেয় শীর্ষ আদালত। কেননা ডাক্তারি পরীক্ষায় বলা হয়েছিল, এ অবস্থায় গর্ভপাত মেয়েটি বা তার গর্ভস্থ সন্তান কারও পক্ষেই ভাল হবে না। মেয়েটিকে বাবা-মা ও ডাক্তাররা বোঝান, তার পেটে পাথর আছে, সেটি অপারেশন করে বের করা হবে।

প্রথমে সন্দেহ করা হয়েছিল, মেয়েটি বড় মামার ধর্ষণে সন্তানসম্ভবা হয়েছে। যদিও নতুন করে ডিএনএ পরীক্ষায় প্রমাণিত হয়, তার ছোট মামাই সন্তানের বাবা।