ঔরঙ্গাবাদ (মহারাষ্ট্র): বেআইনি জলের লাইন বন্ধ করে দেওয়ার অভিযানকে কেন্দ্র করে গত কয়েকদিন ধরে উত্তেজনা ছিল ঔরঙ্গাবাদের মোতি করনজিয়া এলাকায়। একটি ধর্মস্থানে জলের লাইন কেটে দেওয়ার ঘটনায় তা নতুন মাত্রা পায়। দুটি গোষ্ঠীর সংঘর্ষ হয়। গতকাল রাতে দুজন মারা যায়। একজন পুলিশের গুলিতে, আরেকজন নিজের বাড়িতে আটকে পড়ে মারা যান। পাশের একটি দোকানে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল কিছু লোক। আগুন ছড়িয়ে পড়ে তাঁর বাড়িতে। জখম হয় প্রায় ৫০ জন। এদের মধ্যে আছেন বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী, মহিলা।
গতকাল রাতে অশান্তি ছড়িয়ে পড়ায় পুলিশ শূন্যে গুলি চালায়, কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে। জেলা প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করে লোকজনের জমায়েত নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে, ইন্টারনেট পরিষেবাও বন্ধ করে দিয়েছে বলে পুলিশ সূত্রের খবর।
প্রায় ১০০টি দোকান, ৮০টি গাড়িতে আগুন দেয় মারমুখী জনতা। ৩৭ জনকে গতকাল রাত থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আজ মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফঢ়নবিশ পুনেতে সাংবাদিকদের জানান, ঔরঙ্গাবাদের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। হিংসা, অশান্তিতে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে। সামান্য একটি ঘটনা থেকেই হিংসার সূত্রপাত হয় বলে জানান তিনি। রাজ্যের স্বরাষ্ট্র রাষ্ট্রমন্ত্রী রঞ্জিত পাতিল জানান, একটি ছোট গাড়ি পার্ক করা নিয়ে বিবাদের জেরে অশান্তি ছড়ায়।

এদিকে সাংসদ তথা এমআইএম নেতা আসাদুদ্দিন ওয়েইসি ঘটনার তদন্তের দাবি তুলেছেন।