শ্রীনগর: উত্তপ্ত কাশ্মীর। আজ নতুন করে বেশ কিছু জায়গায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহত দুই যুবক। মৃতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি।


মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে সুবিচারের আশ্বাস দিয়েছেন মেহবুবা। তিনি বলেন, স্থানীয় মানুষ ও নিরাপত্তারক্ষীদের মধ্যে এই সংঘর্ষ অনভিপ্রেত, দুর্ভাগ্যজনক।

পুলিশ-প্রশাসন সূত্রে খবর, এখনও বেশকিছু এলাকায় জারি রয়েছে কার্ফু। গোটা উপত্যকাতেই বন্ধ রয়েছে মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা। সমস্ত নির্ধারিত পরীক্ষা স্থগিত করে দিয়েছে কাশ্মীর বিশ্ববিদ্যালয়।

এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, কুপওয়াড়া জেলায় পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়তে থাকে বিক্ষোভকারীরা। সেই সময় পুলিশের পাল্টা গুলিতে জখম হয় ইয়াওয়ার রশিদ ও গোওহর মাজিদ নামে দুই যুবক। শ্রীনগর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে তারা।

তিনি আরও জানিয়েছেন, বারসু ও গন্দেরবাল জেলাতে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ চালাতে থাকে স্থানীয়রা। বান্দিপোরার নাইদখাইতে একটি পরিত্যক্ত ব্যারাকে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা।

প্রসঙ্গত, সেনা জওয়ানরা এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানি করেছিল বলে অভিযোগ ওঠার পর থেকেই বিক্ষোভের আগুনে উত্তপ্ত হচ্ছিল কাশ্মীরের হান্দোয়ারা এলাকা। পরিস্থিতি সামলাতে গুলি ও কাঁদানে গ্যাসের গোলা ছোঁড়ে নিরাপত্তারক্ষীরা। এখনও পর্যন্ত পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয়েছে পাঁচজনের। আহত হন বেশ কয়েকজন।

মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন মেহবুবা। এই নিয়ে স্থানীয় আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকও করেন তিনি। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি মুখ্যমন্ত্রী নির্মল সিংহ, গ্রাম উন্নয়ন মন্ত্রী আব্দুল হক খান, হান্দওয়ারার বিধায়ক সাজাদ লোনে, চিফ সেক্রেটারি বিআর শর্মা, ডিজিপি কে রাজেন্দ্র কুমার এবং সিনিয়র সেনা আধিকারিকেরা।

কাশ্মীরের এহেন পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী মনোহর পর্রীকরের সঙ্গেও কথা বলেন মেহবুবা।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে স্থানীয়দের সহযোগিতার আর্জি জানান তিনি।