রঙ্গিয়া (অসম): অসমের কামরূপ জেলায় বুধবার বাস উল্টে মারা গেলেন দুজন। গোলাঘাটে জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি)-র শুনানি সেরে ফেরার সময় তাঁরা দুর্ঘটনার কবলে পড়েন। ছায়ামুরা নেসা ও অর্জুমা বেগম নামে মৃত দুই যাত্রী কামরূপের ছায়াগাঁওয়ের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। ছায়াগাঁও থানার অফিসার-ইন-চার্জ রূপম হাজারিকা বলেছেন, জাতীয় সড়ক ১৭-র ওপর রাস্তার ধারের একটি গাছে বাসটি ধাক্কা মেরে উল্টে গেলে দুজনের মৃত্যু হয়, জখম হন ৪০ জন। অবস্থা সঙ্কটজনক হওয়ায় আহতদের ১৩ জনকে গুয়াহাটি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাসের যাত্রীরা জানিয়েছেন, তাঁদের নোটিস পাওয়ার ২৪ থেকে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে বাড়ি থেকে ৩০০ কিমি বেশি দূরে গিয়ে নথিপত্র নতুন করে পরীক্ষা করাতে বলা হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, গত ৪ আগস্টও কামরূপের সোনতোলি থেকে গোলাঘাটে এনআরসির নথিপত্র রিভেরিফিকেশনের জন্য জমা দিতে বাসে চেপে যাচ্চিলেন একদল লোক। গুয়াহাটির খানপাড়া এলাকায় বাসটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।
জানা গিয়েছে, এনআরসি-র কাগজপত্র ফের খতিয়ে দেখার জন্য লোকজনের কাছে নোটিস যায় শনিবার, রবিবার। তাঁদের সোমবারই সমনের নোটিসে উল্লিখিত এনআরসি অফিসে নথিপত্র নিয়ে যেতে বলা হয়।
এই প্রেক্ষাপটে সংশ্লিষ্ট লোকজনকে নথিপত্র জমা দেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত সময় দেওয়ার দাবি করেছে বিরোধী দল কংগ্রেস ও ফোরাম এগেনস্ট সিটিজেনশিপ অ্যাক্ট অ্যামেন্ডমেন্ট বিল।