নয়াদিল্লি:  টিভির পর্দায় ক্রাইম শো দেখে খুনের ছক। অবশেষে সেই পরিকল্পনা মতোই ১৭ বছরের এক কিশোরকে খুন করল দুই বন্ধু সহ এক নাবালক। তারপর ছেলেটির বাড়িতে বারংবার ফোন করে ২০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি। মূলত হত্যার ঘটনাটিকে অপহরণের মতো সাজানোর জন্যেই এই ছক কষে অপহরণকারীরা। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিল্লির মেহেরৌলিতে। গত ২৮ অক্টোবর মেহেরৌলি থানায় এক ব্যক্তি এসে তাঁর ছেলেকে অপহরণের কথা পুলিশকে জানায়। পুলিশকে অপহরণকারীদের দাবির কথাও জানান ওই ব্যক্তি।


মৃত কিশোর দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র ছিল। প্রতি শনিবার শনিধাম মন্দিরে যেত ওই কিশোর। গত শনিবারও সন্ধেবেলা সাতটার সময় নিজের স্কুটার নিয়ে মন্দিরে যায় ওই কিশোর। কিন্তু তারপর রাত সাড়ে নটা বেজে যায়, কিন্তু বাড়ি ফেরে না। পরিবারের থেকে যখন কিশোরের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়, তখন কিশোরের ফোনটি নট রিচেবল ছিল। এরপর ছেলেকে ফের ফোনে ধরার চেষ্টা করে তার বাবা। কিন্তু অন্য একজন ধরে বলে, ছেলেকে অপহরণ করা হয়েছে। মুক্তিপণ বাবদ ২০ লক্ষ টাকা দিতে হবে। এরপরই পুলিশে যোগাযোগ করে মৃত কিশোরের বাবা।

তদন্তে নেমে মৃত কিশোরের স্কুটারটি উদ্ধার করে পুলিশ। তারপর মন্দির এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিশ জানতে পারে তিনজন মোটর সাইকেলে এসে ওই কিশোরকে নিয়ে তার স্কুটারটিতে চেপে মিত্তল গার্ডেনের দিকে গিয়েছে। এরপর কিশোরের এক বন্ধু অভিযুক্তদের চিহ্নিত করে। অভিযুক্তরা হল নবীন সিংহ (২০), আকাশ চৌধুরী (২৩) এবং একজন নাবালক। এরপরই অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে পুলিশ। জেরায় অভিযুক্তরা জানায়, নবীনের সম্প্রতি একটি মেয়ের সঙ্গে বন্ধুত্ব হয়েছিল। সে আবার মৃত কিশোরের ক্লাসে পড়ত। নিহত কিশোরের সঙ্গে সেই মেয়েটির ঘনিষ্ঠতা বাড়ায় সহ্য করতে পারেনি নবীন। তারাই টিভিতে ক্রাইম শো দেখে খুনের ছক কষে। মিত্তল গার্ডেনে কিশোরকে খুন করে জঙ্গলে দেহ ফেলে দেওয়া হয়। মৃতের মোবাইলটি নর্দমায় ফেলে দেওয়া হয়েছিল পুলিশকে বিভ্রান্ত করতে।