সূত্রের দাবি, দেশব্যাপী নিরাপত্তাকে আরও আঁটোসাঁটো করা হয়েছে। এই প্রেক্ষিতে দেশের পশ্চিম সীমান্তের পাশাপাশি পূর্বে বাংলাদেশ সীমান্তেও নিরাপত্তা ও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। যাতে সেখান থেকে কোনও জঙ্গি যাতে এদেশে ঢুকতে না পারে।
সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পরই পাকিস্তান সীমান্ত-লাগোয়া অঞ্চলে হামলা চালাতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। সেই মর্মে সীমান্তের নিরাপত্তাকে বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছিল।
তারপরই পাক সীমান্ত জুড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজায় বিএসএফ। এদিন বাংলাদেশ সীমান্তের নিরাপত্তা প্রক্রিয়া খতিয়ে দেখেন বাহিনীর শীর্ষ কর্তারা।
বিএসএফ–এর ডিজি কে কে শর্মা বলেন, পশ্চিম সীমান্তে নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়েছে। প্রতিরক্ষা ও সুরক্ষা বাহিনীকে হাই-অ্যালার্টে রাখা হয়েছে।
শর্মা স্বীকার করে নেন, পাক সীমান্তে এখনও চরম উত্তেজনা রয়েছে। বিশেষকরে, নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর গোলাগুলি জারি রেখেছে পাকিস্তান। তিনি জানান, সেনাকে তাঁরা সবরকম সাহায্য করছেন।
এরসঙ্গেই বিএসএফ প্রধান জানান, পাকিস্তানের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সীমান্তের (আইবি) খুব কাছে পাক চালকহীন বিমানকে (ইউএভি) উড়তে দেখা গিয়েছে। তিনি বলেন, আইবি-র প্রায় ১০০ মিটার দূরে ওই বিমানকে দেখা গিয়েছে।
শর্মার মতে, ইউএভি-র মাধ্যমে হতে পারে ভারতের সামরিক প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চাইছে পাকিস্তান। যদিও, শর্মা জানিয়ে দেন, পাকিস্তানকে যে কোনও জবাব দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে ভারতের। তাঁর আশ্বাস, জঙ্গিদের কোনও দুরভিসন্ধিই সফল হতে দেবেন না তাঁরা।
পাশাপাশি, বাংলাদেশ সীমান্তেও নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। শর্মা বলেন, নতুন করে বাংলাদেশে কোনও জঙ্গি কার্যকলাপের খবর মেলেনি। যদিও, নিরাপত্তায় কোনও ঢিলেমি দেওয়া হচ্ছে না।