নয়াদিল্লি: মহেন্দ্র সিংহ ধোনির আধার সংক্রান্ত তথ্য ফাঁস হয়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে কড়া অবস্থান নিল কেন্দ্রীয় সরকার। যে সংস্থা ধোনির আধার সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করেছিল, সেটিকে ১০ বছরের জন্য কালো তালিকাভূক্ত করা হয়েছে। ইউআইডিএআই-এর সিইও অজয় ভূষণ পাণ্ডে বলেছেন, ব্যক্তিগত তথ্য গোপন রাখার বিষয়ে তাঁদের অবস্থান অত্যন্ত কঠোর। ধোনির তথ্য পাঁস হওয়ার বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


ধোনি ও তাঁর স্ত্রী সাক্ষী ধোনি সম্প্রতি তাঁদের আধার সংক্রান্ত তথ্য আপডেট করেন, এবং সেই তথ্য সংগ্রহ করতে সিএসসি-র কর্মীরা ধোনির বাড়ি যান । সেইমুহূর্তের একটি ছবি তুলে রাখা হয়। পরে সেই ছবি সিএসসি ই-গভার্ন্যান্স, যে সংস্থা আধার রেজিস্ট্রেশনের কাজ করে, তারা তাদের টুইটার পেজে দিয়ে দেয়।

এই সেই ট্যুইট যেখানে সিএসসি ধোনির ছবি সহ আধার অ্যাপলিকেশনের তথ্য দিয়ে দেয়।



এরপর সেই ছবিটি রিট্যুইট করেন কেন্দ্রীয় তথ্য সম্প্রচারমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। টুইট করে তিনি লেখেন কিংবদন্তী ক্রিকেটার ধোনির কাছে আধার সার্ভিস পৌঁছে দেওয়া হল।





এরপরই রবিশঙ্কর প্রসাদের সেই ট্যুইট সাক্ষীর নজরে আসে। তৎক্ষনাৎ তিনি ট্যুইট করে কেন্দ্রীয়মন্ত্রীর কাছে জানতে চান, এভাবে অ্যাপলিকেশনের তথ্য সহ ধোনির ছবি দেওয়া কি ঠিক কাজ? ব্যক্তিগত তথ্য এভাবে ফাঁস করায় কোনও গোপনীয়তা রইল না ধোনির আধার সংক্রান্ত তথ্যের। সাক্ষীর সরাসরি মন্তব্য এটা কোনও জনসাধারণের জানার বিষয় নয়।



এরপরই বিভ্রান্ত হয়ে তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রকের তরফে পাল্টা ট্যুইট করে দাবি করা হয়, এখানে কারও কোনও গোপন তথ্য ফাঁস করা হয়নি।শুধু ছবিই দেওয়া হয়েছে।



এরপরই সাক্ষী সিএসসি-র ট্যুইটগুলোর স্ক্রিনশট করে পাল্টা রিট্যুইট করে দেখান ধোনির ছবি সহ অ্যাপলিকেশনের সমস্ত তথ্যও পোস্ট করা হয়েছে।



এরপরই পরিস্থিতির গভীরতা বুঝতে পেরে সাক্ষীকে ধন্যবাদ জানিয়ে সেই ট্যুইট সরিয়ে নেওয়া হয়।



আশ্বাস দেওয়া হয় ব্যক্তিগত তথ্য এভাবে ফাঁস করা বেআইনি, এবং অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। সেই অনুযায়ীই ওই সংস্থাকে কালো তালিকাভূক্ত করার কথা ঘোষণা করা হল।