নয়াদিল্লি: ২১৬.৪৮ বিলিয়ন ইউএস ডলার থেকে ৪৯০ বিলিয়ন ইউএস ডলার, দেশের এই পরিমাণ সম্পদই রয়েছে ভারতের বাইরে এবং সেটাও হিসেব বহির্ভূত। ‘ন্যাশনাল কাউন্সিল অব অ্যাপ্লাইড ইকোনোমিক রিসার্চ’, ‘দ্য ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ফিনান্সিয়াল ম্যানেজমেন্ট’ এবং ‘দ্য ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব পাবলিক পলিসি অ্যান্ড ফিনান্স’-এই তিন প্রতিষ্ঠানের গবেষণা অনুযায়ী ১৯৮০ থেকে ২০১০, এই তিন দশকেই ভারতের এতো বিপুল পরিমাণ সম্পদ দেশের বাইরে সঞ্চিত হয়েছে এবং যার কোনও হিসেব নেই।


প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে এই তিন সংস্থাকেই কালো টাকা ও হিসেব বহির্ভূত সম্পত্তির ইস্যুতে একটি গবেষণা করতে বলে অর্থ মন্ত্রক। দেশের বাইরে ও এবং দেশে, সবমিলিয়ে হিসাব বহির্ভূত সম্পত্তির পরিমাণ কত, তা জানাতে বলা হয়। অর্থ মন্ত্রকের নেতৃ্ত্বে তৎকালীন ইউপিএ-টু সরকার একটি কমিটিও গঠন করে। যার মাথায় বসানো হয় প্রাক্তন সাংসদ এম বীরাপ্পা মইলিকে। এই কমিটি ষোড়শ লোকসভায় এই বিষয়ে একটি রিপোর্টও দেয়। ওই রিপোর্টে বলা হয়, “কমিটি আশা করে, পরবর্তীতে অর্থমন্ত্রক দেশে ও দেশের বাইরে থেকে হিসেব বহির্ভূত সম্পত্তি কব্জা করতে তিনটি সংস্থার গবেষণা, স্পেশ্যাল ইনভেস্টিগেটিভ টিমের তদন্ত রিপোর্টকে যথাযথ গুরুত্ব দেবে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।”


উল্লেখ্য, ‘ন্যাশনাল কাউন্সিল অব অ্যাপ্লাইড ইকোনোমিক রিসার্চ’ তাদের গবেষণায় জানিয়েছে, ৩৮৪ থেকে ৪৯০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হিসেব বহির্ভূত সম্পদ রয়েছে দেশের বাইরে। ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ফিনান্সিয়াল ম্যানেজমেন্ট’- এর গবেষণা অনুযায়ী ১৯৯০ থেকে ২০০৮, এই ১৮ বছরেই প্রায় ৯ লাখ ৪১ হাজার ৮৩৭ কোটির সম্পত্তি হিসেব বহির্ভূতভাবে দেশে থেকে বাইরে গিয়েছে। উল্লেখিত তিন সংস্থার  গবেষণা অনুযায়ী এত বিপুল পরিমাণ হিসেব বহির্ভূত সম্পত্তির জোগান এসেছে রিয়েল এস্টেট, খনি, ফার্মাসিউটিক্যালস, পান মশলা, গুটখা, তামাক, সোনা-রুপো, ভোগ্য পণ্য, সিনেমা ও শিক্ষা ক্ষেত্র থেকে।