নয়াদিল্লি: বাজেট প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে তীব্র আক্রমণ করলেন রাহুল গাঁধী। কংগ্রেসের নেতার অভিযোগ, দেশের সম্পদ পুঁজিবাদী বন্ধুদের হাতে তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

পরের দুই আর্থিক বছরে পাবলিক সেক্টর কোম্পানি ও অর্থনৈতিক সংস্থাগুলির ১.৭৫ লক্ষ কোটি টাকার মালিকানা অর্থ বাজারজাত করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছেন নির্মলা সীতারমণ। দুটি পাবলিক সেক্টর আনডারটেকিং ব্যাঙ্ক ও এলআইসি-র মতো ইন্যুরেন্স সংস্থাও রয়েছে যার মধ্যে।

কেন্দ্রের যে সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেই মুখ খুলে রাহুল গাঁধী টুইটারে লেখেন, ‘জনসাধারণের হাতে অর্থ তুলে দেওয়া তো দূর হস্ত, মোদি সরকার পরিকল্পনা করেছে ভারতের সমস্ত সম্পদ তাঁদের পুঁজিবাদী বন্ধুদের হাতে তুলে দেওয়ার।’

কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বাজেট পেশ করার আগে সকালেই কংগ্রেস নেতা জনসমক্ষে তাঁর প্রস্তাব রেখেছিলেন। যেখানে রাহুল গাঁধীর দাবি ছিল, বিভিন্ন ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পসংস্থা, কৃষক, শ্রমিকদের আর্থিক সাহায্য করা উচিত সরকারের। করোনার ধাক্কায় ধুঁকতে থাকা অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে একমাত্র রাস্তা লোকের হাতে অর্থের জোগান। তিনি আরও বেশি কর্মসংস্থান তৈরি করার পক্ষেও সওয়াল করেছিলেন।



বাজেট বক্তৃতায় স্বাস্থ্য, প্রতিরক্ষা, উন্নয়নখাতে খরচ বাড়ানোর দিকে জোর দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি সরকারের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। জনগণের কথা ভেবে আত্মনির্ভর ভারত গড়ে তোলার পথনির্দেশ রয়েছে যে বাজেটে বলে ক্যাবিনেট সতীর্থের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন প্রধানমন্ত্রীও।

কিন্তু বিজেপি সরকারের পেশ করা বাজেট নিয়ে বিরোধী কংগ্রেস শিবিরের মত ঠিক উল্টো। কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা আনন্দ শর্মাও বাজেটকে প্রচণ্ড হতাশাজনক ও দিশাহীন বলে আখ্যা দিয়েছেন। আনন্দ শর্মা বলেছেন, ‘করোনার জেরে যে নজিরবিহীন অর্থনৈতিক অস্থিরতা তৈরি হয়েছে, সেটা সামলানোর একমাত্র রাস্তা ছিল কর্মসংস্থান, সাধারণ মানুষের হাতে অর্থ, যার কোনওটারই দিশা নেই বাজেটে।’

রাহুল গাঁধীর ‘পুঁজিবাদী’ খোঁচার পাল্টা দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। কেরলে থাকাকালীন কংগ্রেস সরকার বিজিনজাম বন্দরের উন্নয়নে ভার দিয়েছিল আদানি গ্রুপের হাতে। সেই প্রসঙ্গ টেনে সীতারমণ বলেছেন, ‘ওর কাছে জানতে চাইব বিজিনজাম বন্দরের উন্নয়নেও কী বন্ধু পুঁজিবাদীদের হাত ছিল, রাহুল গাঁধীকে মনে করিয়ে দিতে চাইব কেরলে তখন ক্ষমতায় ছিল কংগ্রেস। আশা রাখি যে কথা উনি বলছেন সেটা বুঝেশুনে বললেন, নাহলে বুঝতে হবে বাজে পরামর্শে কান দিয়ে পথ এগোচ্ছেন।’