নয়াদিল্লি: স্পেশ্যাল প্রোটেকশন গ্রুপের নিরাপত্তা বেষ্টনীতে আর যখন প্রিয়ঙ্কা গাঁধী নেই, তখন তাঁকে দিল্লির লোধি রোডের বাংলো ছেড়ে দিতে হবে, এই মর্মে কিছুদিন আগেই কেন্দ্রের তরফ থেকে নোটিস দেওয়া হয়েছিল। সেই বিষয়টি নিয়েই এদিন ট্যুইটারে বিবাদ বেধে গেল প্রিয়ঙ্কা গাঁধী এবং কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরীর মধ্যে।
পুরী ট্যুইট করেন যে প্রিয়ঙ্কা আরও কিছুদিন বাংলোয় থাকার জন্য আবেদন করেছিলেন, এবং সেই আবেদনে সাড়া দিয়েই নাকি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রিয়ঙ্কাকে আরও কিছুদিন বাংলোটিতে থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।
পুরীর এই ট্যুইটের উত্তরে প্রিয়ঙ্কা বলেন, ‘এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। বাংলোয় বেশি দিন থাকতে দেওয়ার জন্য আমি কোনও আবেদনই করিনি। আমায় নোটিস দিয়ে বলা হয়েছিল ১অগস্টের মধ্যে ৩৫ নম্বর লোদি রোডের এস্টেট ছেড়ে দিতে। আর আমি সেটাই করবো।‘
পুরী এর উত্তরে বলেন, ‘গত ৪ জুলাই সকাল ১২টা ৫ মিনিটে কংগ্রেসের এক প্রভাবশালী নেতা আমায় ফোন করে বলেন যেন বাংলোটিকে অন্য কোনও কংগ্রেস সাংসদের নামে বরাদ্দ করে দেওয়া হয়, যাতে প্রিয়ঙ্কা ওই বাড়িতে আরও কিছুদিন থাকতে পারেন। তাই বলছি অনুগ্রহ করে সবকিছু নিয়ে সেনসেশন্যাল পরিস্থিতি তৈরি করার চেষ্টা করবেন না।‘
এর জবাব দিতে দেরী করেননি প্রিয়ঙ্কাও। ট্যুইটে নিজের প্রতিক্রিয়ায় প্রিয়ঙ্কা বলেছেন, ‘যদি কেউ আপনাকে ফোন করে থাকে, তাহলে তাঁকে ধন্যবাদ জানাতে চাই, চিন্তা করার জন্য। বিবেচনার জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ। কিন্তু এসব কথায় তথ্যের বদল হয় না। আমি এ ধরনের কোনও অনুরোধ করিনি। যেমনটা বলেছি, আমি ১ আগস্টের মধ্যে ওই বাড়ি খালি করে দেব’।