ইলাহাবাদ হাইকোর্ট অবিলম্বে এই বিধায়ককে গ্রেফতার করার নির্দেশ দেয়। বিচারপতি ডি বি ভোসালে ও বিচারপতি সুনীত কুমার বলেন, পুলিশ-প্রশাসনের উপর প্রভাব খাটাচ্ছেন সেঙ্গার। তাই তাঁকে এবং এই মামলায় অন্যান্য অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে হবে। সিবিআই-কে আরও তদন্ত করে ২ মে স্টেটাস রিপোর্ট দেওয়ারও নির্দেশ দেয় আদালত।
উন্নাওয়ের ঘটনায় প্রথম থেকেই সেঙ্গারকে আড়াল করার অভিযোগ ওঠে উত্তরপ্রদেশ সরকারের বিরুদ্ধে। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এই অভিযোগ খারিজ করে দিয়ে দাবি করেন, তাঁর সরকার অপরাধের ক্ষেত্রে জিরো-টলারেন্স নীতি নিয়েছে। অপরাধীরা যতই প্রভাবশালী হোক না কেন, কঠোর হাতে তাদের মোকাবিলা করা হবে। কিন্তু তারপরেও হাইকোর্টে উত্তরপ্রদেশ সরকার জানায়, শুধু এফআইআর-এর ভিত্তিতে সেঙ্গারকে গ্রেফতার করা হবে না। এতে ক্ষুব্ধ বিচারপতিরা জানান, যোগী সরকারের এই মনোভাব ভয়াবহ। এর ফলে আদালতের বিবেকে ধাক্কা লেগেছে। ধর্ষণের শিকার হওয়া মেয়েটির বাবাকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে অভিযুক্ত বিধায়কের ভাই ও গুণ্ডাদের বিরুদ্ধে। পুলিশের হেফাজতেও তাঁকে বেধড়ক মারা হয় বলে অভিযোগ। মেয়েটির পরিবারের লোকজনের বিরুদ্ধেও মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাই অভিযুক্ত বিধায়ককে অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে।
আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও প্রথমবার কাঠুয়া ও উন্নাওয়ের ঘটনা নিয়ে মুখ খোলেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের মেয়েরা বিচার পাবে।’ বিরোধী দলগুলিও সেঙ্গারকে গ্রেফতারের দাবিতে সরব হয়। দেশজুড়ে চাপের মুখেই গ্রেফতার করা হল অভিযুক্ত বিধায়ককে।