এর পাশাপাশি সিবিআই আজ এই মামলায় দ্বিতীয় গ্রেফতারি করেছে। শশী সিংহ নামে এক মহিলা ধর্ষিতাকে অপরাধের দিন বিধায়কের কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন। তাঁকে গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। উত্তরপ্রদেশ পুলিশকে নিগৃহীতার মা যে অভিযোগপত্র দিয়েছেন এবং যা এখন সিবিআইয়ের এফআইআরেরও অংশ, তাতে বলা হয়েছে, শশীই তাঁর মেয়েকে প্রলোভন দেখিয়ে বিধায়কের কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন। তারপর বিধায়ক তাকে ধর্ষণ করেন। এমনকী বিধায়ক মেয়েকে ধর্ষণের সময় ঘরের বাইরে শশী পাহারাদের ভূমিকায় দাঁড়িয়েছিলেন।
গতকাল এলাহাবাদ হাইকোর্ট কঠোর ভাষায় সিবিআইকে তিরস্কার করে। নির্দেশে আদালত বলে, বুঝতে পারছি না কেন তদন্তকারী সংস্থা অভিযুক্তদের গ্রেফতার না করে উল্টে অভিযোগকারিণীকেউ মামলার ব্যাপারে গ্রেফতার করল।
২ মে-র মধ্যে সিবিআইকে রিপোর্ট পেশ করতে বলা হয়েছে।
উন্নাওয়ের ধর্ষিতার দাবি, গত বছরের ৪ জুন সে চাকরির আবেদন করতে এক আত্মীয়কে সঙ্গে করে বিধায়কের বাড়ি গেলে তাকে ধর্ষণ করেন তিনি। গত ফেব্রুয়ারি মেয়েটির পরিবার আদালতে যায় ধর্ষণ মামলায় বিধায়কের নাম অন্তর্ভুক্ত করার জন্য। কিন্তু এরপরই ধর্ষিতার বাবাকে গত ৩ এপ্রিল অস্ত্র আইনে অভিযুক্ত করে ৫ এপ্রিল জেলে ঢুকিয়ে দেয় পুলিশ।
অভিযোগের কোনও সুরাহা হচ্ছে না দেখে মেয়েটি চরম হতাশায় ৮ এপ্রিল মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের বাসভবনের বাইরে গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। পরদিন জেলেই মারা যান তার বাবা। যদিও ময়না তদন্তের রিপোর্টে বলা ছিল, তাঁর দেহে মারাত্মক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।