নয়াদিল্লি: নিয়ম ভেঙে প্রমোশন পাওয়া চার অতিরিক্ত জেলা তথ্য অফিসারকে আগের পদে ফেরাল যোগী আদিত্যনাথ সরকার। চারজন ছিলেন পিওন, ওয়াচম্যান,  সিনেমা অপারেটর-কাম-কমিউনিকেশন অ্যাসিস্ট্যান্ট পদে।  ৬ বছর আগে অখিলেশ যাদবের আমলে তাঁদের অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট ইনফর্মেশন অফিসার করা হয় প্রমোশন দিয়ে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, চারজনেরই পদোন্নতি বেআইনি। আর এটা জানার পর নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত নিয়ে তাদের  পদোন্নতি বাতিল করে আগের পদে বসালেন আদিত্যনাথ।

চারজনের একজন হলেন নরসিং। তাঁকে বেরিলির অতিরিক্ত জেলা তথ্য অফিসার করা হয় প্রমোশন দিয়ে।  পদের অবনমন ঘটিয়ে তাঁকে করা হয়েছে পিয়ন, যে পদে তিনি আগে ছিলেন। ফিরোজাবাদের অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট ইনফর্মেশন অফিসার হয়ে বসা দয়া শঙ্করকে বলা হয়েছে,  তাঁকে ওয়াচম্যানের পুরানো কাজে ফিরতে  হবে। একইভাবে বিনোদ কুমার শর্মা, অনিল কুমার সিংহকে সিনেমা অপারটের-কাম-কমিউনিকেশন অ্যাসিস্ট্য়ান্টের পুরানো কাজে যোগ দিতে বলা  হয়েছে। পদোন্নতি ঘটিয়ে তাঁদের যথাক্রমে মথুরা ও ভাদোহির অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট ইনফর্মেশন অফিসার করা হয়েছিল।

চারজনের পদোন্নতির প্রেক্ষিতে  এলাহাবাদ হাইকোর্টে প্রমোশনের আবেদন করছিলেন তথ্য দপ্তরের এক হেল্পার।  তিনি তাঁর সমান পদে থাকা চারজনের অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট ইনফর্মেশন অফিসার হিসাবে পদোন্নতির নজির টেনে বলেছিলেন, তাঁরও পদোন্নতি প্রাপ্য।  কিন্তু আদালত তাঁর পিটিশন নাকচ করে জানিয়ে দেয়, প্রমোশনের অধিকার সার্ভিস রুল দ্বারা পরিচালিত হয়। পাশাপাশি আদালত ডিরেক্টর (ইনফর্মেশন)-কেও ওই হেল্পারের পিটিশন ও তাঁরই সমান পর্যায়ে পড়া চারজনের প্রমোশন হয়েছে বলে তাঁর ক্ষোভ নিরসনে সিদ্ধান্ত নিতে বলে। হাইকোর্টের নির্দেশানুসারে, তথ্য় দপ্তর ওই চারজনের নথিপত্র পরীক্ষা করে দেখে, তাঁদের কোনও নিয়ম-বিধি না  থাকা সত্ত্বেও প্রমোশন দেওয়া হয়েছে। জনৈক সরকারি মুখপাত্র বলেন, ঠিক হয়, চারজনেরই পদের অবনমন করা হবে কারণ এই ধরনের প্রমোশনের কোনও নিয়মই নেই।  ওই হেল্পারের পদোন্নতির দাবিই শুধু ভুল নয়, চারজনের প্রমোশনও বেআইনি। প্রমোশনের পর চারজন যে বেতন তুলেছেন, তাও তাদের কাছ থেকে ফেরত নেওয়া হবে জানিয়েছেন মুখপাত্রটি।