লখনউ: ত্রিশঙ্কু বিধানসভার পূর্বাভাসকে ভুল প্রমাণ করে উত্তরপ্রদেশে একাই ট্রিপল সেঞ্চুরি বিজেপির। লোকসভার পর ফের উত্তরপ্রদেশে দুর্বার গতিতে দৌড়াচ্ছে নরেন্দ্র মোদীর বিজয়রথ। পনেরো বছর পর আবার লখনউয়ের তখতে ফুটল পদ্ম।


এখনও পর্যন্ত যা ফলাফল সামনে এসেছে, তাতে বিজেপি একাই তিনশোর বেশি আসন পেতে চলেছে। জোট হিসেবে সেই সংখ্যা বেড়ে ৩২৫। সেখানে বিদায়ী শাসক দল সমাজবাদী পার্টি ও কংগ্রেস জোটের কপালে জুটেছে মাত্র ৫৪। বহুজন সমাজ পার্টি পেয়েছে ১৯। অন্যান্যরা পেয়েছেন ৫টি আসন।


এখনও পর্যন্ত উত্তরপ্রদেশে এটিই বিজেপির সেরা পারফরম্যান্স। যা পিছনে ফেলে দিয়েছে ১৯৯১ সালে বিজেপির জয়কেও। রাম মন্দির আন্দোলনের পর, উত্তরপ্রদেশে পদ্ম ফুটিয়েছিলেন লালকৃষ্ণ আডবাণী-কল্যাণ সিংহরা। বিজেপি পেয়েছিল ২২১টি আসন।


এবার ৪০৩টি বিধানসভা আসনের মধ্যে বিজেপি একাই ট্রিপল সেঞ্চুরি পার করেছে। দলের মতে, এর সিংহ কৃতিত্বের দাবিদার হলেন প্রধানমন্ত্রী নিজে। কার্যত তাঁর ক্যারিশমায় ভর করেই এত বিপুল জনসমর্থন পেয়েছে বিজেপি।


রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, এই জয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হয়েছিল ২০১৪ সালেই। মোদী ঝড়ে ভর করে ২০১৪-র লোকসভা নির্বাচনে, বিজেপি একাই পেয়েছিল ৮০টির মধ্যে ৭১টি আসন। বিধানসভা আসনের নিরিখে ৩৩৬টি বিধানসভা আসনে এগিয়েছিল বিজেপি।


লোকসভার মতোই, এবারের বিধানসভা নির্বাচনেও বিজেপির মুখ ছিলেন একজনই—তিনি নরেন্দ্র মোদী। রোড শো হোক বা জনসভা-- কখনও বার্তা দিয়েছেন উন্নয়নের তো কখনও ঘুরিয়ে হিন্দুত্ববাদকে জাগিয়ে তুলেছেন। মোদীর মুখে একদিকে যেমন উঠে এসেছে কৃষক ও বিদ্যুতের কথা। তেমনই, গ্রামে কবরস্থানের জায়গা করা হলে শ্মশানও বানানো উচিত বলতেও  শোনা গিয়েছে তাঁকে।


পাল্টা, মোদীর মতো রোড শোও করেছিলেন রাহুল-অখিলেশ! কিন্তু, ব্র্যান্ড মোদীর ঔজ্বল্য এতটুকু ফিকে করতে পারেননি তাঁরা! উল্টে তাঁদের যাবতীয় প্ল্যান ম্লান হয়ে গিয়েছে মোদীর কৌশলের সামনে। যার প্রমাণ মিলল শনিবার।


মোদী-ম্যাজিকে উত্তরপ্রদেশে এবার হোলির রং গেরুয়া।