রবিবার ভোররাতে কানপুরের কাছে পটনা-ইনদওর এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত হওয়ায় ঘুমের মধ্যেই শেষ নিঃশ্বাস ফেলেছেন ১০০-র কাছাকাছি যাত্রী। আহতের সংখ্যা ১৫০-র বেশি। পুলিশ জানিয়েছে, হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে, কারণ কামরার ভেতরে অনেক যাত্রী এখনও আটকে রয়েছেন। ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স ও পিএসি ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে।
কানপুরের হালেট হাসপাতাল ও লখনউয়ের ট্রমা সেন্টার ওয়ান, টু আর কিং জর্জস মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটিতে চলছে আহতদের চিকিৎসা। অ্যাম্বুলেন্সগুলি যাতে তাঁদের গ্রিন করিডোর দিয়ে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব, নিরাপদে হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারে, তা দেখছে রাজ্য পুলিশ।
সম্ভবত এই প্রথম ভারতে কোনও রেল দুর্ঘটনায় আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে তৈরি হয়েছে গ্রিন করিডোর। অর্থাৎ এমন একটি রাস্তা, যেখানে ট্রাফিক সিগন্যাল দরকারমত লাল ও সবুজ করা যায়, যাতে ভিড়ভাট্টা কম হয় ও প্রয়োজনমত জরুরি ভিত্তিতে দ্রুত যেতে দেওয়া যায় গাড়িকে।
দুর্ঘটনায় পড়া ট্রেনটিতে সবথেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এস ১ ও এস ২ কোচ। এছাড়াও সিটিং কাম লাগেজ রেক কোচ এসি ১-ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গুঁড়িয়ে গেছে দুটি সাধারণ কামরা এবং এস ৩, ৪, ৫ ও ৬টি অন্য কোচ। দুর্ঘটনার জেরে ঝাঁসি-কানপুর রেললাইনে ট্রেন চলাচল বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে পুষ্পক এক্সপ্রেস সহ বেশ কয়েকটি ট্রেন।
আরও পড়ুন অঙ্গপ্রতিস্থাপনে বেনজির পদক্ষেপ, শহরে প্রথম গ্রিন করিডর