লখনউ: উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচনের আগে ফের জাত-পাতের রাজনীতি শুরু হয়ে গেল। ১৭টি অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণিকে তফশিলী জাতিভূক্ত করার সুপারিশ অখিলেশ যাদব সরকারের। রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই প্রস্তাব পাশ হয়ে গিয়েছে। এবার কেন্দ্রের অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে এই সুপারিশ।


এর আগেও এই পদক্ষেপের চেষ্টা করেছিল উত্তরপ্রদেশ সরকার। সেবার বাধা দিয়েছিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট। কিন্তু নির্বাচনের আগে ফের জাত-পাতের তাস খেললেন অখিলেশ। বসপা সুপ্রিমো মায়াবতী অবশ্য এই সিদ্ধান্তকে নির্বাচনী নাটক বলে কটাক্ষ করেছেন। তাঁর দাবি, কোনও শ্রেণিকে অনগ্রসর থেকে তফশিলী জাতিভূক্ত করার ক্ষমতা কেন্দ্রের হাতে। তা সত্ত্বেও মানুষকে ভুল বোঝানোর চেষ্টা করছে উত্তরপ্রদেশ সরকার।

উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে ভাল জায়গায় নেই অখিলেশ সরকার। সমাজবাদী পার্টির অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব তাঁর পক্ষে অস্বস্তির। সেই পরিস্থিতিতে অনগ্রসর শ্রেণির মানুষকে কাছে টানার লক্ষ্যে এই নতুন কৌশল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

অখিলেশ যাতে দলিত ভোটব্যাঙ্কে কোনওভাবে থাবা বসাতে না পারেন, তার জন্য সচেষ্ট মায়াবতী। তিনি বলেছেন, ‘গত পাঁচ বছরে একটি ছাড়া বাকি সব অনগ্রসর শ্রেণির মানুষকে অবহেলা করার পর এখন তাঁদের ভুল বোঝানোর চেষ্টা করছে সপা সরকার। মুলায়ম সিংহ যাদেবর সরকারও এভাবেই তাঁদের ভুল বোঝানোর চেষ্টা করত। এই পদক্ষেপ একইসঙ্গে দুর্ভাগ্যজনক, আইনবিরুদ্ধে এবং নিন্দাজনক।’

এর আগে ২০০৫ সালে মুলায়ম মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন এই ১৭টি অনগ্রসর শ্রেণিকে তফশিলী জাতিভূক্ত করার চেষ্টা করেছিল উত্তরপ্রদেশ সরকার। কিন্তু আদালতের রায়ে সরকারের সেই সিদ্ধান্ত খারিজ হয়ে যায়। এরপর ২০১৩ সালের মার্চে উত্তরপ্রদেশ বিধানসভায় এই মর্মে একটি প্রস্তাব পাশ হয়। যদিও কেন্দ্র এখনও সেই প্রস্তাব অনুমোদন করেনি। নির্বাচনের আগে ফের এ বিষয়ে নড়েচড়ে বসল অখিলেশ সরকার।