লখনউ:  দিন কয়েক আগেই উত্তরপ্রদেশের মাদ্রাসাগুলির জন্যে বিশেষ একটি পোর্টালের সূচনা করে যোগী আদিত্যনাথ সরকার। এবার মাদ্রাসাগুলিকে কড়া নজরদারিতে রাখতে জিপিএসের মাধ্যমে জিও-ট্যাগিংয়ের সিদ্ধান্ত উত্তরপ্রদেশ সরকারের।


একটি ইংরেজি দৈনিকে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, মাদ্রাসার মধ্যে থাকা জাল পড়ুয়া ও শিক্ষাকর্মীদের খুঁজে বের করতেই জিও-ট্যাগিংয়ের সিদ্ধান্ত আদিত্যনাথ সরকারের। ওই একই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, গত ৩১ জুলাই এই সংক্রান্ত যে নির্দেশ দেয় উত্তরপ্রদেশ সরকার, সেখানে মাদ্রাসার ক্লাসরুমগুলোর ম্যাপ, বাড়ির ছবি এবং সেখানকার সমস্ত শিক্ষক-শিক্ষিকার ব্যাঙ্কের বিস্তারিত তথ্যও জমা দিতে বলা হয়।

জানা গিয়েছে, রাজ্য সরকারের উদ্যোগে চালু হওয়া নতুন পোর্টালে মাদ্রাসাগুলোর সমস্ত কর্মীদের আধার সংক্রান্ত তথ্য আপলোড করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এমনকি রাজ্যের সমস্ত মাদ্রাসার জন্যে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে, যেন তারা প্রত্যেকে নতুন চালু হওয়া পোর্টালে নথিভূক্ত করে।

সূত্রের দাবি, নয়া এই পোর্টালে উত্তরপ্রদেশের প্রায় দশ হাজার মাদ্রাসার নাম নথিভূক্ত হবে, সঙ্গে জমা দিতে হবে সেখানকার সমস্ত কর্মীদের ছবি ও অন্যান্য তথ্য। বর্তমানে উত্তরপ্রদেশের প্রায় আট হাজার মাদ্রাসা সরকার দ্বারা স্বীকৃত। তারমধ্যে আবার ৫৬০টি মাদ্রাসা সম্পূর্ণ সরকারচালিত।

এমনকি এখন থেকে মাদ্রাসাতে যখন যা অনুষ্ঠান হবে, সবকিছুর ভিডিও তুলে রাখতে হবে। স্বাধীনতা দিবসের আগে রাজ্য সরকার এমন একটি নির্দেশিকা জারি করেছিল। তবে এই নির্দেশের পর সর্বভারতীয় মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের সদস্য মৌলানা খালিদ রশিদ ফারাঙ্গী মাহলি জানতে চেয়েছিলেন, এই নিয়ম কি শুধু মাদ্রাসার ওপরই লাগু হচ্ছে? এরপর তাঁর প্রশ্ন ছিল, তাহলে কি তাঁদের দেশাত্মবোধকে সন্দেহ করা হচ্ছে?

সরকারের তরফে এক বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে মাদ্রাসার শিক্ষাগত মান, পড়াশোনার প্রক্রিয়া এবং শিক্ষকদের শিক্ষাগত যোগত্যা বুঝতেই এই নয়া উদ্যোগ। আদিত্যনাথ সরকারের দাবি, মূলত মাদ্রাসাগুলির উন্নয়নই তাঁদের আসল লক্ষ্য।