লখনউ: উত্তরপ্রদেশের আজমগড়ের এক ডাক্তারি ছাত্রী টেলিফোনেই বিয়ে করে ফেলেছেন এক আই জঙ্গিকে। আমজাদ খান ওরফে আয়ান খান সালাফি নামের ওই জঙ্গি এপ্রিল মাসে সৌদি আরব ভারতের হাতে প্রত্যর্পণ করে। এর কাজ ছিল আইএসআইএসের শাখা জঙ্গি গোষ্ঠী জুনুদ উল খিলাফা হিন্দ বা জেকেএইচের জন্য জঙ্গি জোগাড় করা।

২৪ বছরের ওই ছাত্রীকে সে সিরিয়ায় গিয়ে খাঁটি ইসলামীয় জীবন কাটাতে বলেছিল। মেয়েটি তার কথায় এতটাই প্রভাবিত হন, যে সিরিয়ায় গিয়ে আইএসে যোগ দিতে রাজি তো হনই, গত বছর মে মাসে তাকে টেলিফোনে বিয়েও করে ফেলেন তিনি।

৩৭ বছরের আমজাদ সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ চালাত সৌদি আরব থেকে। এনআইএ-কে সে বলেছে, জঙ্গি ভাবধারায় মুসলিম যুবকযুবতীদের আকৃষ্ট করাই শুধু তার কাজ ছিল না, তাদের জঙ্গি গোষ্ঠী জেকেএইচে যোগ দিতেও উদ্বুদ্ধ করত সে। ২০১২-র নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে তার সঙ্গে ওই ছাত্রীর যোগাযোগ হয়। হাদিস নিয়ে তার জ্ঞানে অত্যন্ত প্রভাবিত ছাত্রীটি তার প্রেমে পড়ে যান। যদিও তিনি জানতেন, আমজাদ বিবাহিত, তার দুটো বাচ্চাও রয়েছে।

২০১৪-র এপ্রিলে সৌদি আরব যায় আমজাদ। সে ছাত্রীকে বোঝায় আইএসে যোগ দিতে। বলে, সিরিয়ায় গিয়ে তার সঙ্গে থাকতে পারেন তিনি, সে জন্য তাঁকে যুদ্ধক্ষেত্রে যেতে হবে না।

গত বছর মে মাসে ফোনে বিয়ে করে তারা। সব নিয়মকানুন মেনেই হয় তাদের বিয়ে। তবে মেয়েটি কোনও জঙ্গি কার্যকলাপে যোগ না দেওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না এনআইএ। তাঁর নামপ্রকাশও করেনি তারা।