মথুরা: রক্ষকই যখন ভক্ষক! এক কিশোরীকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠল ২ পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে। এই ঘটনা কাঠগড়ায় দাঁড় করাল যোগী আদিত্যনাথ প্রশাসনকে।
গোবিন্দ নগর এলাকার বাসিন্দা ওই কিশোরী জানায়, এক অভিযুক্ত পুলিশকর্মী তারই বাড়িতে থাকে। দশম শ্রেণির ওই পড়ুয়ার দাবি, বেশ কিছুদিন ধরে অভিযুক্ত সাব-ইন্সপেক্টর ও কনস্টেবল তাকে অনুসরণ করত।
অভিযোগে নির্যাতিতা কিশোরী জানায়, একদিন ওই সাব-ইন্সপেক্টর তাকে ও তার ছোট বোনকে একটি গেস্ট হাউসে নিয়ে যায়। এরপর সে ওই কনস্টেবলকেও সেখানে ডাকে।
কিশোরীর দাবি, প্রথমে তাকে মাদক-মেশানো পানীয় খাওয়ানো হয়। তার বোনকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় অন্য ঘরে। এরপর সে অচৈতন্য হয়ে পড়লে দুজনে মিলে তাকে ধর্ষণ করে।
কিশোরী জানায়, তার হুঁশ ফিরলে, বোন তাকে জানায়, ওই ২ পুলিশকর্মী তাকে গণধর্ষণ করেছে। নির্যাতিতার আরও দাবি, ঘটনার কথা কাউকে জানালে তার ফল ভোগ করতে হবে বলেও হুমকি দেয় অভিযুক্তরা।
বাড়িতে নির্যাতনের ঘটনা বাবা-মাকে জানালে, তারা গোবিন্দ নগর থানায় অভিযোগ দায়র করতে যান। কিশোরীর পরিবারের দাবি, প্রথমে অভিযোগ নিতেই অস্বীকার করে পুলিশ। কিন্তু, সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হওয়ার পর নড়েচড়ে বসে প্রশাসন।
নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে দুই অভিযুক্ত পুলিশকর্মী— সাব-ইন্সপেক্টর দুর্গা রমাকান্ত পাণ্ডে এবং কনস্টেবল প্রবীণ উপাধ্যায়কে সাসপেন্ড করেন মথুরার পুলিশ সুপার।
গত ২৪ তারিখ মধ্যপ্রদেশের শিবপুরী এলাকার সদর বাজারে প্রকাশ্য রাস্তায় দুই অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির হাতে এক দশ বছরের কিশোরীর শ্লীলতাহানি হওয়ার ছবি ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেই ছবি সিসিটিভিতে ধরা পড়ে। এরপরই অভিযুক্তদের ধরে পুলিশ।