ঝাঁসি: বাস দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম এক ব্যক্তির সঙ্গে চরম অমানবিক আচরণ করার অভিযোগ উঠল উত্তরপ্রদেশের ঝাঁসির মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে। ওই ব্যক্তির পা বাদ যাওয়ার পর তাঁর মাথার নীচে বালিশ হিসেবে সেই পা দেওয়া হয়। স্থানীয় একটি টিভি চ্যানেলে এই ছবি সম্প্রচারিত হতেই শুরু হয় বিতর্ক। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছে।


প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, চিকিৎসকদের অমানবিকতার শিকার হওয়া ওই ব্যক্তি একটি বেসরকারি স্কুলের বাসের ক্লিনার। শনিবার ঝাঁসির মৌরানিপুর অঞ্চলে পড়ুয়াদের নিয়ে স্কুলে যাওয়ার সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে বাস। গুরুতর জখম অবস্থায় ওই ব্যক্তিকে মহারানি লক্ষ্মীবাই মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁর শরীরে যাতে সংক্রমণ ছড়িয়ে না পড়ে সেজন্য বাঁ পা হাঁটুর নীচ থেকে কেটে বাদ দেন চিকিৎসকরা। পরে সেই পা ওই ব্যক্তির মাথার নীচে দেওয়া হয়। যা দেখে ওই ওয়ার্ডে থাকা অন্য রোগীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।

এই মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষা সাধনা কৌশিক অবশ্য রোগীর সঙ্গীদের উপরেই এই ঘটনার দায় চাপিয়ে বলেছেন, ‘ওই ব্যক্তিকে এখানে নিয়ে আসার পরেই চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। তাঁর মাথা উঁচু করে রাখার জন্য চিকিৎসকরা কিছু একটা খুঁজছিলেন। সেই সময় ওই ব্যক্তির সঙ্গীরা কাটা পা তাঁর মাথার নীচে দিয়ে দেন। আমরা একটি কমিটি গঠন করেছি। যদি আমাদের কোনও কর্মী দোষী সাব্যস্ত হন, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

মেডিক্যাল কলেজেই ওই ব্যক্তির পা বাদ দেওয়া হয়েছে কি না, সেটা নিয়ে দু’রকম কথা শোনা যাচ্ছে। একটি সূত্রে বলা হচ্ছে, দুর্ঘটনাস্থলেই তাঁর পা কেটে বাদ যায়। সেই পা মেডিক্যাল কলেজে আনা হয়। অন্য একটি সূত্রে আবার দাবি করা হয়েছে, মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকরাই পা বাদ দেন।