গত মাসেই উত্তরপ্রদেশ সরকারের কাছে হাইকোর্ট জানতে চায়, মন্দির, মসজিদ, গির্জা বা গুরুদ্বারার মতো ধর্মীয় স্থানগুলিতে লাউডস্পিকার লাগানোর জন্য প্রশাসনের কাছ থেকে লিখিত অনুমতি নেওয়া হয়েছে কি না। এই ধরনের অবৈধ লাউডস্পিকারগুলির বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে? সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের আধিকারিকের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে? স্বরাষ্ট্র দফতরের প্রধান সচিব ও উত্তরপ্রদেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের চেয়ারম্যানকে ১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে হলফনামা দিয়ে এই সংক্রান্ত তথ্য জানাতে হবে।
হাইকোর্টের এই নির্দেশের পরেই উত্তরপ্রদেশ সরকার লাউডস্পিকার খোলার উদ্যোগ নিল। স্বরাষ্ট্র দফতরের প্রধান সচিব অরবিন্দ কুমার বলেছেন, ‘শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ আইন প্রয়োগ করার জন্য হাইকোর্টের নির্দেশে সরকারের বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।’
উত্তরপ্রদেশ সরকারের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, আগামী সোমবারের মধ্যে যদি কোনও স্থানে লাউডস্পিকার লাগানোর জন্য প্রশাসনের অনুমতি না নেওয়া হয়, তাহলে ২০ তারিখ থেকে সরকার সেই লাউডস্পিকার খোলা শুরু করবে। এরপর শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ আইন অনুসারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ধর্মীয় ও জনবহুল স্থানে লাউডস্পিকারের শব্দের মাত্রাও বেঁধে দেওয়া হয়েছে।