নয়াদিল্লি: #সাত কংগ্রেস সাংসদের সাসপেনশন প্রত্যাহারের সম্ভাবনা। আজ লোকসভার অধ্যক্ষের ডাকা সর্বদলীয় বৈঠকে এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। অধিবেশনকক্ষে বিশৃঙ্খলার অভিযোগে কংগ্রেসের ৭ সাংসদকে সাসপেন্ড করেন অধ্যক্ষ।

এদিকে সংসদে গুলাম নবির ঘরে রণকৌশল-বৈঠক করছে কংগ্রেস। বৈঠকে রয়েছেন কপিল সিব্বল, আনন্দ শর্মা, অম্বিকা সোনিরা।

হোলির ছুটির পর আজ ফের শুরু হল সংসদের বাজেট অধিবেশন। কিন্তু শুরুতেই দিল্লির হিংসা নিয়ে বিরোধী সাংসদদের স্লোগানের কারণে রাজ্যসভা দুপুর দুটো পর্যন্ত স্থগিত করে দেওয়া হয়।

লোকসভাতেও একই পরিস্থিতি তৈরি হয়। কংগ্রেস সাংসদদের সাসপেনশন নিয়ে বিরোধী সদস্যরা সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে শুরু করেন। তাঁদের বিক্ষোভের কারণে অধিবেশন দুপুর বারোটা পর্যন্ত মুলতুবী করে দিতে হয়।

সাত কংগ্রেস সাংসদের সাসপেনশন প্রত্যাহারের দাবিতে লোকসভায় কংগ্রেস দলনেতা মুলতুবী প্রস্তাব দিয়েছেন। অধ্যক্ষের টেবিল থেকে কাগজ ছিনিয়ে নেওয়ায় অভব্য আচরণের জন্য চলতি বাজেট অধিবেশনের বাকি পর্বের জন্য ওই সাত কংগ্রেস সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়। কংগ্রেস এই ঘটনাকে স্বৈরতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত বলে সরকারের সমালোচনা করেছে। কংগ্রেসের অভিযোগ, দিল্লির হিংসা নিয়ে বিতর্কের আগে বিরোধী কন্ঠস্বরকে দুর্বল করাই সরকারের লক্ষ্য।

এরইমধ্যে রাজ্যসভায় ইয়েস ব্যাঙ্ক সংকট নিয়ে জিরো আওয়ার নোটিশ জমা দিয়েছেন আম আদমি পার্টি সাংসদ সঞ্জয় সিংহ।

হোলির ছুটির পর সংসদের অধিবেশনে দিল্লি হিংসার ঘটনা নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে উঠবে বলেই মনে করা হচ্ছিল। এর আগে কংগ্রেস সহ বিরোধীরা এই ঘটনা নিয়ে বিতর্কের দাবি জানায়। বিরোধীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সরকার জানিয়েছিল, বিষয়টি নিয়ে তারা আলোচনায় প্রস্তত, তবে তা হোলির পর। দিল্লির ঘটনা ছাড়াও কংগ্রেস মধ্যপ্রদেশে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক টানাপোড়েনের ঘটনা নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে বিধায়ক ভাঙানোর অভিযোগে সরব হতে পারে।