ভোপাল: ব্যোমকেশ বক্সীর এক বিখ্যাত গল্পে এক রগচটা ভদ্রলোকের বারবার উইল করার অভ্যেস ছিল। যার ওপরই রাগ হত, তাকে উইল থেকে বাদ দিয়ে দিতেন, সম্পত্তি দিয়ে দিতেন আর একজনকে। এই অভ্যেস শেষমেষ তাঁর মৃত্যুর কারণ হয়। মধ্য প্রদেশেও রয়েছেন এমনই এক মাথা গরম কৃষক, যিনি ছেলের ওপর রেগে সব সম্পত্তি কুকুরকে লিখে দিয়েছেন। যদিও এ ক্ষেত্রে বিয়োগান্ত কিছু হয়নি, পরে তিনি মত বদলেছেন বলে খবর।

বাবা মায়েদের সঙ্গে ছেলেমেয়েদের অবনিবনা নতুন কিছু নয়। বিশেষ করে সম্পত্তি যেখানে অশান্তি সেখানে। রেগে মেগে ত্যাজ্য পুত্র কন্যাও করে দেন অনেকে। কিন্তু মধ্য প্রদেশের ওই বাসিন্দা সবাইকে ছাপিয়ে গিয়ে পৈত্রিক সম্পত্তি লিখে দিয়েছেন পোষা কুকুরকে!

রাগী এই বাবার নাম ওম নারায়ণ ভার্মা, পেশায় কৃষক। বাড়ি মধ্য প্রদেশের ছিন্দওয়াড়া জেলার বাড়িবাদা গ্রামে। পোষা নেড়ি কুকুর জ্যাকিকে পূর্বপুরুষদের কাছ থেকে পাওয়া ২ একর জমি তিনি উইল করে দিয়েছেন। ওই কুকুরই তাঁর আইনসম্মত উত্তরাধিকারী। বাকি জমি পাবেন তাঁর স্ত্রী চম্পা। ৫০ বছরের ওম নারায়ণ ছেলের ওপর অসন্তুষ্ট, তাই তাঁকে সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করে জ্যাকিকে বড়লোক করে দিয়েছেন তিনি।

উইলে ওম নারায়ণ লিখেছেন, আমার স্ত্রী চম্পা ও পোষা কুকুর জ্যাকিই শুধু আমার দেখাশোনা করে। আমি এখন সুস্থ, এরা দুজনেই আমার প্রিয়। যাতে পোষা কুকুর তাঁর মৃত্যুর পর কোনও কষ্টে না পড়ে, তাই তাকে নিজের সম্পত্তি উইল করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত।

জ্যাকির বয়স ১১ মাস। ওম নারায়ণ ভার্মা উইলে লিখেছেন, যে তাঁর মৃত্যুর পর জ্যাকির দেখাশোনা করবে, সে জ্যাকির অবর্তমানে তার ২ একর জমির উত্তরাধিকারী হবে। তবে জ্যাকিকে বঞ্চিত করে সম্পত্তি হজম করার চেষ্টা করলে চলবে না।

তবে শোনা যাচ্ছে, পরে ওম নারায়ণ মত পাল্টেছেন। স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান যমুনা প্রসাদ ভার্মা তাঁর সঙ্গে এ নিয়ে কথা বলেছেন, তাঁকে বুঝিয়েছেন উইল বাতিল করতে। ওম নারায়ণ পরে জানিয়েছেন, রাগের মাথায় ওই উইল করে ফেলেন তিনি, এবার বাতিল করার কথা ভাবছেন।