শ্রীনগর: উরিতে সেনাছাউনিতে হামলা চালিয়েছে ৪ বিদেশি জঙ্গি। হামলার ধরন দেখে মনে হচ্ছে, জইশ ই মহম্মদের হাত রয়েছে। চার জঙ্গিকেই নিকেশ করা হয়েছে, তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ৪টি একে ৪৭, গ্রেনেড, গ্রেনেড লঞ্চার সহ বহু অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র। জানালেন ডিরেক্টর জেনারেল অফ মিলিটারি অপারেশনস, লেফটেন্যান্ট জেনারেল রণবীর সিংহ।


সেনা আধিকারিক জানিয়েছেন, জঙ্গিরা সেনা ছাউনিতে আগুন ধরিয়ে দেওয়ায় এত বেড়েছে হতাহতের সংখ্যা, ১৩-১৪জন সেনাকর্মীর মৃত্যু হয়েছে তাতে। জঙ্গিদের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া বেশ কিছু জিনিসপত্রে পাকিস্তানের ছাপ মিলেছে। এ নিয়ে পাক সেনা কর্তার সঙ্গে কথাও হয়েছে তাঁর। তিনি আরও জানিয়েছেন, সকাল সাড়ে আটটা পর্যন্ত চলেছে সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াই। তবে চিরুনি তল্লাশি চলছে এখনও।

এখন ভারতীয় সেনার ওপর জৈশ হামলা নতুন কিছু নয়। পঠানকোট হামলাও ঘটিয়েছিল এরা। এদিনই একটি নতুন সেনা ইউনিট উরিতে এসে পৌঁছয়। আর শেষ রাতে সেনা ছাউনিতে আগুন ধরিয়ে ও বোমা, গ্রেনেড ছুঁড়ে হামলা চালায় জঙ্গিরা। ঘুমন্ত সেনাকর্মীরা কিছু বুঝে উঠতে পারার আগেই আগুন ধরে যায় চারপাশে। তবে তারপরেই মুখের মত জবাব দেয় সেনা। কিন্তু মৃত ১৭ সেনাকর্মীর মধ্যে ১৩ থেকে ১৪জনই প্রাণ হারান আগুনের গ্রাসে। ১৯জনের অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক। স্মরণাতীতকালে ভারতীয় সেনার ওপর এত বড় হামলা আর ঘটেনি।

ঘটনার পরই জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, স্বরাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের শীর্ষ কর্তাব্যক্তিরা এবং সেনা ও আধাসেনাকর্তাদের নিয়ে বিশেষ বৈঠক ডাকেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। এছাড়াও ছিলেন র এবং আইবি প্রধান। এক ঘণ্টার বৈঠকে গোটা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হয়। পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, রীতিমত প্রশিক্ষিত, অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্রধারী জঙ্গিরা এই উরি হামলা ঘটিয়েছে। পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদী রাষ্ট্র, তাদের বিচ্ছিন্ন করতে হবে।



পরিস্থিতি সরেজমিনে দেখতে প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পর্রীকর এদিনই পৌঁছে গেছেন শ্রীনগর। সেখানে সেনাপ্রধান দলবীর সিংহ সুহাগের সঙ্গে তাঁর আলোচনা হয়েছে।