এবার থেকে পরস্পরের ছাউনি ও জিনিসপত্র ব্যবহার করতে পারবে ভারত ও মার্কিন সেনা, স্বাক্ষরিত চুক্তি
ABP Ananda, web desk | 30 Aug 2016 07:06 AM (IST)
ওয়াশিংটন: প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ঘনিষ্ঠতা আরও বাড়াচ্ছে ভারত ও আমেরিকা। ঠিক হয়েছে এবার থেকে মেরামতি ও রসদ সরবরাহ সংক্রান্ত কারণে দু’দেশ পরস্পরের জমি, আকাশ ও নৌঘাঁটি ব্যবহার করতে পারবে। এ ব্যাপারে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে দিল্লি ও ওয়াশিংটন। সমুদ্রে চিনা বাড়বাড়ন্ত ঠেকানোর জন্য এই পদক্ষেপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। লজিস্টিক্স এক্সচেঞ্জ মেমোরান্ডাম অফ এগ্রিমেন্ট বা এলইএমওএ নামে পরিচিত এই দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষরের পর প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পর্রীকর ও মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব অ্যাস্টন কার্টার জানিয়েছেন, দু’দেশের সেনাবাহিনীর বাস্তব বোঝাপড়া ও আদানপ্রদানের জন্য এই চুক্তি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে। এর ফলে প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি ও বাণিজ্যিক বোঝাপড়া ক্ষেত্রে উপকৃত হবে দু’পক্ষই। এছাড়াও আমেরিকা ও তার ঘনিষ্ঠতম সহযোগী দেশগুলি যে প্রতিরক্ষা বাণিজ্য ও প্রযুক্তির অংশীদার, তার সুযোগসুবিধে পাবে ভারতও। এই চুক্তির ফলে ভারত ও মার্কিন নৌসেনা যৌথ অপারেশন ও মহড়ার কাজে একে অপরকে সহজেই সাহায্য করতে পারবে। মানবিক সাহায্যের ক্ষেত্রেও যথেষ্ট ফলপ্রসূ হবে এই চুক্তি। তবে ওয়াশিংটন এই চুক্তি নিয়ে আগে থেকে আগ্রহী হলেও ধোঁয়াশায় ছিল দিল্লি। ভয় ছিল, এর ফলে আমেরিকা ভারতের সেনা ঘাঁটি ব্যবহার করতে পারবে অথবা তাদের সঙ্গে সামরিক জোটে ভাগীদার হতে হবে। ফলে চুক্তিটির ব্যাপারে নীতিগতভাবে এপ্রিলেই সহমত হলেও চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছতে লেগে যায় আরও কয়েক মাস। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, তারপরেও সব বাধা কাটিয়ে উঠে নরেন্দ্র মোদী সরকার যেভাবে এই চুক্তি সই করল, তাতে আমেরিকার সঙ্গে প্রতিরক্ষাগত বোঝাপড়া আরও ঘনিষ্ঠ করতে কেন্দ্রের বর্তমান নতুন সরকার যে কতটা আগ্রহী তা যথেষ্ট পরিষ্কার। মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর আগেই জানিয়ে দিয়েছে, চিনা ড্রাগনকে ঠেকাতে তারা ভারতের সঙ্গে প্রতিরক্ষা সম্পর্ক আরও গভীর করতে চায়। বিশেষ করে দক্ষিণ চিন সাগরে চিন যেভাবে বারবার প্ররোচনামূলক পদক্ষেপ করছে, তাতে ভারতের সঙ্গে মিলিটারি সম্পর্ক জোরালো করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মার্কিন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।