আজমগড়: ছাত্রীদের নাম ভাঁড়িয়ে স্কুলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে অ্যাড করার আবেদন! তারপর অনলাইন ক্লাস চলাকালীন পর্ন ভিডিও পোস্ট! শিক্ষিকার উদ্দেশে অকথ্য মন্তব্য! আজমগড়ে দশম শ্রেণির দুই ছাত্রকে গ্রেফতার করল পুলিশ!

লকডাউনে বন্ধ স্কুল। তাই বহু বেসরকারি স্কুল থেকেই ব্যবস্থা করা হয়েছে অনলাইন ক্লাসের। অনলাইনে আজমগড়ের একটি বেসরকারি স্কুলের ক্লাস ১২ -এর ক্লাস নিচ্ছিলেন স্কুলেরই শিক্ষিকা! ইতিমধ্যেই ওই শিক্ষিকার কাছে ২টি অজানা নম্বর থেকে ২ জন ছাত্রীর নাম করে আবেদন আসে তাদের ওই গ্রুপে অ্যাড করার জন্য। কিছুদিন ধরে গরহাজির ছিল ওই দুই ছাত্রী। গ্রুপে অ্যাড করার পর তাদের মধ্যে একজন অশ্লীল মন্তব্য করে। এরপর ওই শিক্ষিকা তাকে বকাবকি করেন, বারণ করেন ওই ধরনের মন্তব্য করতে। এরপরেই ওই গ্রুপে অপর নম্বর থেকে পোস্ট করা হয় পর্ন ভিডিওটি।এরপর অশ্লীল কথোপকথন চলে ওই ২ নম্বরের মধ্যে। সব দেখে গ্রুপ লিভ করে যান ওই  শিক্ষিকা। এরপরেই স্কুলের প্রিন্সিপালের কাছে ওই ঘটনার অভিযোগ জানান ওই শিক্ষিকা।

এরপর শিক্ষিকার অভিযোগের ভিত্তিতে কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই স্কুলের প্রিন্সিপাল। পুলিশ ওই দুই ছাত্রীর বাড়িতে খোঁজ নিতে গেলে তাদের পরিবার জানায় তারা শহরে নেই। এমনকি ওই ছাত্রীদের ফোনও নাকি পাওয়া যাচ্ছে না!

এরপর ওই নম্বরগুলি ট্র্যাক করে পুলিশ। জানা যায় ওই নম্বর দুটি ওই স্কুলেরই ২ জন দশম শ্রেণির দুই ছাত্রের। দ্বাদশ শ্রেণির দুই ছাত্রী অনুপস্থিত জেনেই তাদের নাম ভাঁড়িয়ে ওই গ্রুপে অ্যাড করার আবেদন করে তারা। ওই দুই ছাত্রকে গ্রেফতার করে জুভেনাইল হোমে পাঠানো হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে এফআইআরও।