দেহরাদূন: কেন্দ্রের কৃষি ক্ষেত্রে সংস্কারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদরত কৃষকরা সংঘাতে জড়ালেন উত্তরাখণ্ড পুলিশের সঙ্গে। উত্তরাখণ্ডের উধম সিংহ নগরে কৃষক ও পুলিশের সংঘাতের একটি নাটকীয় ভিডিও ফুটেজ সামনে এসেছে। ট্রাক্টরের ধাক্কায় পুলিশের তৈরি ব্যারিকেড ভেঙে ফেললেন বিক্ষোভকারীরা। বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মী ব্যারিকেড আগলে ছিলেন। ট্রাক্টরের ধাক্কায় বিক্ষোভকারীরা ভেঙে পেলেন ব্যারিকেড।
এই ঘটনার ভিডিও সংবাদসংস্থা এএনআই ট্যুইটারে পোস্ট করেছে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, পুলিশের মুখোমুখি বিশাল সংখ্যায় বিক্ষোভকারীরা। এরইমধ্যে সবুজ রঙের একটি ট্রাক্টর চালিয়ে কয়েকজন বিক্ষোভকারী ব্যারিকেড ভেঙে ফেলেন। ফলে পুলিশকর্মীরা সরে যেতে বাধ্য হন।



নতুন তিনটি কৃষি আইনের বিরুদ্ধে দিল্লির বিভিন্ন প্রবেশ পথে হাজার হাজার কৃষক গত মাস থেকে অবস্থান বিক্ষোভ প্রদর্শন করছেন। তাঁদের দাবি এই আইনগুলির ফলে ভেঙে পড়বে কৃষি পণ্যের নিয়ন্ত্রিত বাজার পদ্ধতি।
বিক্ষোভকারীদের আশঙ্কা, নির্ধারিত মূল্য গম ও চাল কেনা বন্ধ করে দেবে সরকার। এরফলে তাঁরা বৃহৎ কর্পোরেটের মুখাপেক্ষী হয়ে পড়বেন।
কৃষক সংগঠনগুলি তিন আইনই প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন। এই দাবি মানা না হলে বৃহত্তর আন্দোলনেরও হুঁশিয়ারি দিয়েছে তারা।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের সঙ্গে কৃষক নেতাদের বেশ কয়েক দফার বৈঠক হলেও এখনও কোনও রফাসূত্র পাওয়া যায়নি।
এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অচলাবস্থা কাটাতে নতুন করে আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছেন। দেশের কৃষকদের উদ্দেশে ভাষণে মোদি নতুন কৃষি আইন সম্পর্কে তাঁদের উদ্বেগের নিরসন করতে চেয়েছেন। তিনি বলেছেন, সেপ্টেম্বরে সংসদে অনুমোদিত এই আইন কৃষকদের যেখানে খুশি তাঁদের ফসল বিক্রির স্বাধীনতা দিয়েছে।

বিরোধীরা কৃষকদের ভুল বোঝাচ্ছে বলে অভিযোগ করলেন নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রীর দাবি, তাঁর সরকারের আমলে কৃষকদের উন্নতি হয়েছে। কৃষিক্ষেত্রের অগ্রগতি হয়েছে। কেন্দ্রের নতুন কৃষিনীতির পক্ষে জোরালো সওয়াল করার পাশাপাশি মোদি জানালেন, কৃষকদের উন্নয়নে কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে তাঁর সরকার।

দেশের কৃষকদের সঙ্গে ভার্চুয়াল কনফারেন্স করলেন নরেন্দ্র মোদি। সেখানেই তিনি বলেন, ‘২০১৪ থেকে আমরা নতুন রণকৌশল নিয়ে কাজ করছি। যৎসামান্য প্রিমিয়ামে প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমার সুবিধা চাষিদের। ৮৭ হাজার কোটি টাকা বিমার থেকে পেয়েছেন চাষিরা।’

প্রধানমন্ত্রী যোগ করেন, ‘ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নিশ্চিত করার কথা আগেই বলা হয়েছিল। ফসল বেচার জন্য আজ কৃষকরা বিকল্প মান্ডি পাচ্ছেন। অনলাইনে ফসল বেচতে শুরুও করেছেন কৃষকরা।’