নয়াদিল্লি: প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর শারীরিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল। এইমস এক মেডিক্যাল রিপোর্টে জানিয়েছে এ কথা। ৯৩ বছরের বাজপেয়ী মূত্রনালীতে সংক্রমণের কারণে গতকাল এইমসে ভর্তি হয়েছেন। তাঁর সুস্থতা কামনা করে কানপুরে যজ্ঞের আয়োজন করেছেন বিজেপি সমর্থকরা।

[embed]https://twitter.com/ANINewsUP/status/1006388929568727040[/embed]

মূত্রনালীর সমস্যা ছাড়াও বাজপেয়ীর ফুসফুসে সংক্রমণ হয়েছে, রয়েছে কিডনির সমস্যা। তবে এইমস জানিয়েছে, চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন তিনি, ইঞ্জেকশন দিয়ে অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হচ্ছে তাঁকে। সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গপ্রত্যঙ্গ স্থিতিশীল। যতদিন না সংক্রমণ পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে, ততদিন হাসপাতালে রাখা হবে তাঁকে।

এইমসের ডিরেক্টর রণদীপ গুলেরিয়ার তত্ত্বাবধানে চিকিৎসকদের একটি দল বাজপেয়ীর দায়িত্বে রয়েছে। এখনও এইমসের কার্ডিও-থোরাসিক সেন্টারের আইসিইউ-তে রয়েছেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সহ সরকার ও বিরোধীপক্ষের বেশ কয়েকজন নেতানেত্রী দেখে গিয়েছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে। প্রধানমন্ত্রী চিকিৎসকদের সঙ্গে দেখা করে বাজপেয়ীর শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিয়েছেন, দেখা করেছেন তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও। এছাড়া আসেন লালকৃষ্ণ আডবাণী, রাজনাথ সিংহ, অমিত শাহ, জেপি নাড্ডা, হর্ষ বর্ধন, বিজয় গোয়েল, কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী প্রমুখ।

গত ৭ বছর ধরে বাজপেয়ীর রুটিন চেকআপ চলছে এইমসে। ২০০৯ থেকে তিনি অসুস্থ, চলাফেরার জন্য ব্যবহার করেন হুইলচেয়ার। ডিমেনশিয়ায় অর্থাৎ স্মৃতিভ্রংশ জনিত রোগে ভুগছেন তিনি। প্রায় ৩ বছর বাজপেয়ীকে জনসমক্ষে দেখা যায়নি।

বিজেপির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এই নেতা প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী হন ১৯৯৬-এ। এরপর ১৯৯৮-এ তিনি ফের প্রধানমন্ত্রী হন ও ভোটে জিতে ১৯৯৯-এ প্রধানমন্ত্রী হন ৫ বছরের জন্য। তাঁকে ভারত রত্নে ভূষিত করেছে মোদী সরকার।