মুজফ্ফরনগর: মেয়ের বিয়েতে নিরামিষ ভোজের আয়োজন করেছিলেন পাত্রীর বাবা। পাতে মাংস না দেখতে পেয়ে পাত্রপক্ষ চটে লাল। বেঁকে বসেন খোদ পাত্রও। এই হইচইয়ের মধ্যে পাত্রকে বিয়ে না করার সিদ্ধান্ত নিয়ে আরেকজনকে বিয়ে করলেন পাত্রী। ঘটনাটি মুজাফ্ফরনগরের।
যোগী আদিত্যনাথ প্রশাসনের সিদ্ধান্তে উত্তরপ্রদেশে বন্ধ হয়ে গিয়েছে অবৈধ কসাইখানাগুলি। ফলে, স্বভাবতই রাজ্যজুড়ে তৈরি হয়েছে মাংসের আকাল। এই পরিস্থিতিতে, বুধবার কুলডেহি গ্রামের বাসিন্দা নাগমার বিয়ের আসর বসে রিজওয়ানের সঙ্গে।
বাজারে মাংসের আকাল হওয়ায় বিয়েতে নিরামিষ ভোজনের আয়োজন করেছিলেন নাগমার পরিবার। কিন্তু, মেনুতে নিরামিষ খাবার দেখে চটে লাল হয়ে যায় পাত্রপক্ষ। এমনকী বিয়ে ভেঙে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়। পাত্রপক্ষকে শান্ত করতে পাত্রীর পরিবারের তরফে থেকে পুরো বিষয়টি বোঝানোর চেষ্টাও করা হয়।
যদিও, তাতে চিড়ে ভেজেনি। ফলে সমস্যা সমাধানে পঞ্চায়েত ডাকতে হয়। বহু অনুনয়-বিনয়ের পর বিয়েতে রাজি হয় রিজওয়ানের পরিবার। সব যখন ঠিকঠাক, আচমকা বেঁকে বসেন খোদ পাত্রী। নাগমা সাফ জানিয়ে দেন, তিনি এই পাত্রকে বিয়ে করবেন না।
ফলে, রিজওয়ান ও নাগমার বিয়ে ভেস্তে যায়। চারদিকে যখন বিষণ্ণতা, তখনই আচমকা নাগমাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন আগত অতিথিদের মধ্যেই একজন। তাঁকে ফেরাননি নাগমা। পঞ্চায়েতও সায় দেয়। শেষে ওই ব্যক্তিকেই বিয়ে করেন নাগমা।