আমদাবাদ: গুজরাত ভাইব্র্যান্ট সম্মেলনে তাবড় তাবড় শিল্পপতিদের উপস্থিতি, লগ্নির প্রতিশ্রুতির মধ্যেই এক কিশোরকে ঘিরে আলোড়ন পড়েছে। গুজরাত সরকারের সঙ্গে ৫ কোটি টাকার সমঝোতা স্মারকপত্র (মউ) স্বাক্ষর করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে ১৪ বছরের দশম শ্রেণীর ছাত্র হর্ষবর্ধন জালা। নিজের তৈরি ড্রোন উত্পাদনের জন্যই গুজরাত সরকারের বিজ্ঞান ও বাণিজ্য দফতরের সঙ্গে এই মউ স্বাক্ষর করেছে সে। তার তৈরি ড্রোন যুদ্ধক্ষেত্রে ল্যান্ড মাইন খুঁজে বের করে নষ্ট করতে সক্ষম।

তার বয়সের আর পাঁচটা কিশোর যখন বোর্ড পরীক্ষার প্রস্তুতি নেয় তখন হর্ষবর্ধন  তার ব্যবসার পরিকল্পনা নিয়ে ব্যস্ত ছিল এবং ড্রোনের তিন তিনটি নমুনা তৈরি করে। গত বছরই সে নমুনা ড্রোন তৈরির কাজ শুরু করেছিল। হর্ষবর্ধন বলেছে, টিভি দেশে সে জানতে পারে ল্যান্ড মাইন হাতে করে নিষ্ক্রিয় করতে গিয়ে অনেক সেনা জখম হন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সে ল্যান্ড মাইন নিষ্ক্রিয় করার নিরাপদ উপায় উদ্ভাবনের চেষ্টা শুরু করে।

ড্রোনের তিনটি নমুনা তৈরি করতে খরচ হয়েছে ৫ লক্ষ টাকা। হর্ষবর্ধনের বাবা-মা প্রথম দুটি নুমনার জন্য ২ লক্ষ টাকা খরচ করেছে। তৃতীয় নমুনার জন্য ৩ লক্ষ টাকা সে রাজ্য সরকারের কাছ থেকে অনুদান হিসেবে পেয়েছে।
হর্ষবর্ধনের তৈরি ড্রোনে থাকছে ইনফ্রারেড, আরজিবি সেন্সর এবং ২১ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা সহ থার্মাল মিটার। ক্যামেরায় রয়েছে মেকানিক্যাল শাটার যা হাই রেজোলিউশনের ছবি চুলতে পারে। হর্ষবর্ধন জানিয়েছে কীভাবে ড্রোনটি কাজ করবে। মাটির দুই ফুট উচ্চতায় উড়তে উড়তে ড্রোন থেকে আট বর্গ কিলোমিটার জুড়ে ছড়িয়ে পড়বে বিশেষ তরঙ্গ। সেই তরঙ্গই ল্যান্ড মাইন চিহ্নিত করে সেটির অবস্থান বেস স্টেশনকে জানাবে। ড্রোনে থাকবে ৫০ গ্রাম ওজনের বোমা, যা ওই ল্যান্ডমাইন ধ্বংসের কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে।

ড্রোন উত্পাদন ও সেগুলি নিরাপত্তা সংস্থাগুলিকে দিয়ে পরীক্ষা করানোর জন্য মুখিয়ে রয়েছে হর্ষবর্ধন। সে ইতিমধ্যেই পেটেন্টের জন্যও আর্জি জানিয়েছে।