গুজরাত মুখ্যমন্ত্রীর পদে শপথ রূপানির, পূর্ব মন্ত্রিসভা থেকে ছাঁটাই ৯ জন
Web Desk, ABP Ananda | 07 Aug 2016 10:47 AM (IST)
আমদাবাদ: গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন বিজয় রূপানি। এদিন গাঁধীনগরের মহাত্মা মন্দিরে রূপানি, উপ-মুখ্যমন্ত্রী নিতিন পটেল সহ নতুন মন্ত্রিসভার ২৩ জন সদস্যকে শপথবাক্য পাঠ করান রাজ্যপাল ও পি কোহলি। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী আনন্দীবেন পটেলের মন্ত্রিসভার ৯ মন্ত্রী জায়গা পাননি নতুন ক্যাবিনেটে। গত শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ৬১ বছরের রূপানির নাম ঘোষণা করে বিজেপি। দলীয় সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বিজেপি সভাপতি অমিত শাহর ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত রূপানি। এর আগে, নিতিন পটেলই মুখ্যমন্ত্রীর পদের দাবিদার হিসেবে এগিয়ে ছিলেন। কিন্তু, শেষ মুহূর্তে বাজি মেরে দেন রূপানি। তবে, নিতিনকে উপ-মুখ্যমন্ত্রী করেছে দল। নতুন মন্ত্রিসভায় রয়েছে ৮ জন পূর্ণমন্ত্রী এবং ১৬ জন প্রতিমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী এবং উপ-মুখ্যমন্ত্রী সহ মন্ত্রিসভার মোট সদস্য সংখ্যা ২৫। নতুন মুখ্যমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মোদী। একইসঙ্গে, আনন্দীবেন যে এতদিন দায়িত্ব পালন করেছেন, তারও প্রশংসা করেন। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন বজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ, প্রবীণ নেতা লালকৃষ্ণ আডবাণী, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি, কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী হর্ষবর্ধন সহ একাধিক শীর্ষ নেতা। উপস্থিত ছিলেন মহারাষ্ট্র, ঝাড়খণ্ড ও হরিয়াণার মুখ্যমন্ত্রী যথাক্রমে দেবেন্দ্র ফঢ়ণবীশ, রঘুবর দাস এবং মনোহর লাল খট্টার। তবে, সবচেয়ে উল্লেখযোগ্যভাবে সদ্য প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী আনন্দীবেন পটেলের নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিসভার ৯ জন সদস্যকে রাখা হয়নি নতুন ক্যাবিনেটে। এঁদের মধ্যে তিনজন পূর্ণমন্ত্রী এবং ৬ জন প্রতিমন্ত্রী। সেই তালিকায় রয়েছেন সৌরভ পটেল, রমন ভোরা, গোবিন্দ পটেল এবং আনন্দীবেনের মন্ত্রিসভায় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী রজনীভাই পটেল। অন্যদিকে, পতিদার সম্প্রদায়ের ৮ জন নতুন মন্ত্রিসভায় জায়গা পেয়েছেন। একদা বিজেপির প্রতি অনুগত থাকা এই সম্প্রদায়ের সঙ্গে সাম্প্রতিককালে দূরত্ব তৈরি হয়েছে দলের। শিক্ষা ও চাকরিতে বেশ কিছুদিন ধরেই সংরক্ষণ চেয়ে আসছিল এই সম্প্রদায়। বিজেপি সূত্রের খবর, যেভাবে পতিদারদের সেই দাবির মোকাবিলা করা হয়েছে, তাতে আনন্দীবেনের ওপর ক্ষুব্ধ ছিল দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে ফেসবুকে নিজের ইস্তফার ইচ্ছার কথা ঘোষণা করেন রাজ্যের প্রথম মহিলা মুখ্যমন্ত্রী আনন্দীবেন। দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব তা মেনে নেওয়ায় তিনি রাজ্যপালের কাছে ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দেন।