LIVE UPDATES: 


# পাঁচকুলা সংঘর্ষে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৮। আহত ২৫০।


নয়ডা ও গাজিয়াবাদে ১৪৪ ধারা জারি। ১৪৪ ধারা জারি উত্তরপ্রদেশের মুজফ্ফরনগর,  বাগপাট ও শামলিতে।  ৩ বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করল পুলিশ।


রাম রহিমের সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের নির্দেশ কোর্টের। সম্পত্তি নিলাম করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ। নির্দেশ পঞ্জাব-হরিয়ানা হাইকোর্টের।


হরিয়ানা সরকারের কাছে রিপোর্ট চাইল প্রধানমন্ত্রীর দফতর। মনোহরলাল খট্টর সরকারের ইস্তফা দাবি বিরোধীদের।


# হরিয়ানার হিংসা ছড়াল পঞ্জাব, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশে। দিল্লির কাছে গাজিয়াবাদে ডিটিসির বাসে আগুন। গাজিয়াবাদের লোনিতে বাসে ভাঙচুর, আগুন। দিল্লির আনন্দবিহারে বাসে আগুন। পঞ্জাবের ৩টি স্টেশনে ডেরা সমর্থকদের আগুন।


রোহতকের সুনারিয়া জেল, যেখানে রাম রহিমকে রাখা হচ্ছে, তার নিরাপত্তা জোরদার করা হল। জেলের এক কিলোমিটার ব্যাসার্ধে মোতায়েন সিআইএসএফ জওয়ানরা।


# পরিস্থিতি সামলাতে নামল সেনা। ৬ কলাম সেনা পাঠানো হল। নামল ১০ কোম্পানি সিআরপিএফ।


# হরিয়ানা, পঞ্জাব মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে কথা রাজনাথ সিংহের। প্রশ্নের মুখে হরিয়ানার বিজেপি সরকার।


# ভাটিন্ডা, মানসা, ফিরোজপুরে জারি কার্ফু।


#  পাঁচকুলার ঘটনার জেরে দিল্লি ও উত্তরাখণ্ডে হাই অ্যালার্ট।


পাঁচকুলা: ধর্ষণের মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলেন স্বঘোষিত ধর্মগুরু রাম রহিম। সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের রায় ঘোষণার পরেই হিংসাত্মক হয়ে উঠল তার অনুগামীরা। শুধু পাঁচকুলাতেই ২৮ জনের মৃত্যু। আহত অন্তত আড়াইশো। হিংসা ছড়াল দিল্লি-সহ একাধিক রাজ্যে।
বাবা রাম রহিমের বিরুদ্ধে ১৯৯৯ সালে দুই শিষ্যাকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। এক শিষ্যা সিবিআইকে গোপন জবানবন্দিতে জানান, তিনি হরিয়ানার সিরসায় ডেরা প্রধানের চেম্বারে ঢোকার পরই দরজা বন্ধ হয়ে যায়। দেখেন, রাম রহিম বড় স্ক্রিনে পর্নোগ্রাফি দেখছেন। এরপরই রাতভর তাঁকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ।
তদানীন্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীকে লেখা চিঠিতে এক শিষ্যা অভিযোগ করেন, হরিয়ানার সিরসায় ডেরা চত্বরে অন্য শিষ্যাদেরও একাধিক বার ধর্ষণ করে রাম রহিম।
কিন্তু, অভিযোগ কেন্দ্র কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। এরপর আদালতে চিঠি লেখেন ওই দুই শিষ্যা। পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্ট সিবিআইকে রাম রহিমের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা রুজু করতে নির্দেশ দেয়।২০০২ সালে সিবিআই ‘ডেরা-প্রধানে’র বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা রুজু করে।
১৫ বছর পর, শুক্রবার রায় ঘোষণার দিন ধার্য করা হয়। রাস্তায় নামে রাম-রহিমের হাজার হাজার ভক্ত। বৃহস্পতিবার ট্যুইট করে রাম রহিম বলে, আদালতে সে হাজির হবে। প্রায় একশো গাড়ির কনভয় নিয়ে এভাবেই আদালতে পৌঁছয় বিতর্কিত ধর্মগুরু। এরপর সিবিআই কোর্ট তাকে ধর্ষণের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে। সোমবার শাস্তি ঘোষণা হবে।
কিন্তু, গুরু দোষীসাব্যস্ত হয়েছে শুনেই পাঁচকুল্লা-সহ নানা জায়গায় তাণ্ডব শুরু করে রাম-রহিমের অনুগামীরা। হরিয়ানায় পাঁচকুল্লায় চলল স্বঘোষিত ধর্মগুরু রাম রহিমের অনুগামীদের তাণ্ডব। জ্বলল শতাধিক গাড়ি। পুড়ল স্টেশন। ছাই হয়ে গেল একাধিক সংবাদমাধ্যমের ওবি ভ্যান। ছাড় পেল না টেলিফোন এক্সচেঞ্জ, দমকলের গাড়ি, বিদ্যুৎ দফতরের অফিস, পেট্রোল পাম্প ও মিল্ক অফিস।
কার্ফুর মধ্যেই চলল পুলিশ-জনতা খণ্ডযুদ্ধ! কাঁদানে গ্যাস। চলল গুলি। মৃত্যু হল ২৮ জনের! দিনভর জ্বলে আগুন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার আশঙ্কা থাকা সত্ত্বেও, শুরু থেকে বিজেপি পরিচালিত হরিয়ানা সরকারের বিরুদ্ধে নরম মনোভাব নেওয়ার অভিযোগ উঠছিল। আর শেষপর্যন্ত আশঙ্কা সত্যি প্রমাণিত করে সেই তাণ্ডব চলল।
রাম রহিমের অনুগামীদের তাণ্ডবের মুখে কার্যত অসহায় হরিয়ানা সরকার এখন কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিচ্ছে। শান্তির আহ্বান জানাচ্ছে। সবকিছু হয়ে যাওয়ার পর আকাশে উড়েছে হেলিকপ্টার। নামানো হয়েছে ড্রোন।
কিন্তু, তার আগেই যা করার সব কিছু করে দিয়েছে বিতর্কিত ধর্মগুরুর অনুগামীরা। শান্ত শহরকে পুড়িয়ে ছারখার করে দিয়েছে। এরইমধ্যে পাঁচকুলার সিবিআই আদালত থেকে হেলিকপ্টারে করে ধর্ষণে দোষী সাব্যস্ত বিতর্কিত দোষী সাব্যস্ত ধর্মগুরুকে রোহতকের জেলে নিয়ে যাওয়া হয়। সোমবার সাজা ঘোষণার দিন। সেদিন কী হবে, তাই ভেবে এখন থেকেই ঘুম উড়েছে পুলিশ-প্রশাসনের।