নয়াদিল্লি: 'পদ্মাবতী' বিতর্কের মধ্যেই হিংসার ভাষায় উগ্র হুমকি দেওয়া, কাউকে মেরে ফেলার ফতোয়া দিয়ে ইনাম ঘোষণার তীব্র নিন্দা করলেন বেঙ্কাইয়া নাইডু। উপরাষ্ট্রপতি অবশ্য সরাসরি পদ্মাবতীর উল্লেখ করেননি। আজ এখানে এক সাহিত্য উত্সবে তিনি সামগ্রিক চলচ্চিত্র, শিল্প সংস্কৃতির কথাই বলেছেন। দেশে আইনের শাসনের গুরুত্বহীন করে দেওয়ার বিরুদ্ধেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বেঙ্কাইয়া।
তিনি বলেন, কয়েকটি সিনেমা ঘিরে নতুন এক সমস্যা তৈরি হয়েছে। ছবিগুলি একটি বিশেষ ধর্ম বা সম্প্রদায়ের ভাবাবেগে আঘাত করেছে দাবি করে বিক্ষোভ, প্রতিবাদে নামছে কিছু মানুষ। তার মধ্যে অত্যুত্সাহী একদল লোক মাথার দাম ঘোষণা করে দিচ্ছে। এদের হাতে অত টাকা আছে কিনা, সন্দেহ হয় আমার। সকলেই কোটি টাকা পুরস্কার ঘোষণা করছে। এক কোটি টাকা কি মুখের কথা? কিন্তু গণতন্ত্রে এসব চলে না। গণতান্ত্রিক পথে প্রতিবাদের অধিকার আছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবাদ করুন, কিন্তু কারও অঙ্গহানি করা বা হিংসাত্মক হুমকি দেওয়া যায় না। আইনের শাসনকে খাটো করা ঠিক নয়। বেঙ্কাইয়া বিশেষ কোনও ছবির কথা বলছেন না বলে জানান। অবশ্য গরম হাওয়া, কিসসা কুর্সি কা, আঁধির মতো অতীতের কয়েকটি বিতর্কিত ছবির উল্লেখ করেন।


পদ্মাবতী নিয়ে ইতিহাসবিদদের মধ্যেই দ্বিমত রয়েছে। এমনকী এমন কেউ বাস্তবে আদৌ ছিলেন কিনা, তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন কেউ কেউ। ছবিটির মুক্তির বিরোধিতা করছে যারা, সেই কর্নি সেনা সহ নানা রাজপুত গোষ্ঠীগুলির দাবি, রানি পদ্মাবতীর চরিত্রহনন করা হয়েছে সঞ্জয় লীলা বনশালির ছবিতে, ইতিহাস বিকৃত করেছেন উনি। এজন্য বনশালি ও ছবির অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোনের মাথা কাটলে কোটি টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছে কয়েকজন। বেঙ্কাইয়া বলেছেন, আইন হাতে তুলে নেওয়ার অধিকার কারও যেমন নেই, তেমনই অন্যদের ভাবাবেগেও আঘাত করা যায় না। নিন্দা, প্রতিবাদের ক্ষেত্রে বাছবিচারের বিরোধিতা করে এ ব্যাপারে ধর্মের বিচারও ভুল বলে অভিমত জানান তিনি। বিরোধী মতপ্রকাশের প্রসঙ্গে উপরাষ্ট্রপতির মত, বিরুদ্ধ মত পোষণ করা গ্রহণযোগ্য, কিন্তু বিভাজন মেনে নেওয়া চলে না।