পঞ্চকুলা: হরিয়ানার পঞ্চকুলায় হিংসার আগে বা পরে ধর্ষক বাবা রাম রহিমের ছায়া সঙ্গিনী হানিপ্রীত কার কার সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিলেন তা জানতে তৎপর পুলিশ। সূত্রের খবর, অভিযুক্ত হানিপ্রীতের আই ফোন পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। হিংসার ছক তৈরিতে এই ফোন ব্যবহার করা হয়েছিল বলে দাবি তদন্তকারীদের। এবার তাঁর ল্যাপটপটি হাতে পাওয়ার চেষ্টা করছে পুলিশ।অন্যদিকে, ধৃত হানিপ্রীতকে ১০ দিন জেল হেফাজতের  নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। ২৭ অক্টোবর ফের তাঁকে আদালতে পেশ করা হবে।

ডেরা সাচা সৌদা প্রধান রাম রহিমের তথাকথিত দত্তক কন্যার কালো রঙের আইফোন বিপাসনার কাছ থেকে পুলিশ বাজেয়াপ্ত করেছে। গা ঢাকা দেওয়ার আগে হানিপ্রীত বিপাসনার কাছে গিয়েছিলেন। পুলিশ সূত্রে খবর, আইফোনের হোম বাটনে ফিঙ্গারপ্রিন্ট লক রয়েছে। ফোনটি পরীক্ষার জন্য টেকনিক্যাল ল্যাবে পাঠানো হয়েছে।  ফোনটি থেকে পঞ্চকুলায় হিংসার ঘটনার আগে এবং পরের কল রেকর্ড এবং পুরানো ডেটা থাকার কথা জানা গিয়েছে।

সূত্রের খবর, জেরায় হানিপ্রীত পঞ্চকুলায় হিংসার ব্যাপারে যে ছক কষা হয়েছিল সে সম্পর্কে অনেক গোপন কথা জানিয়েছেন। সেই সব তথ্য যাচাই করছে পুলিশ।

গতকাল পুলিশ ডেরার চেয়ারপার্সন বিপাসনাকে পঞ্চকুলা থানায় ৯ ঘন্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। কিন্তু তিনি তদন্তকারীদের সঙ্গে সহযোগিতা করেননি বলেই সূত্রের খবর। শরীর খারাপের দোহাই দিয়ে অনেক প্রশ্নই তিনি এড়িয়ে গিয়েছেন। পুলিশ বিপাসনা ও হানিপ্রীতকে মুখোমুখি বসিয়েও জেরা করেছে। এতে কিছু কথা বিপাসনা স্বীকার করেছেন। আবার কোনও কোনও কথা অস্বীকার করেছেন বা জবাব এড়িয়ে গিয়েছেন।

সূ্ত্রের খবর, মুখোমুখি বসিয়ে জেরার আগে হানিপ্রীতকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে ফেলেন বিপাসনা।