তবে তাঁরা আগাম অনুমতি ছাড়া দেশ ছাড়তে পারবেন না বলে জানিয়েছে আদালত।
সিবিআই অবশ্য সওয়াল করে, জামিন পেলে তাঁরা সাক্ষীদের প্রভাবিত করতে পারেন, তাঁদের বিরুদ্ধ চলতি বেআইনি সম্পত্তি মামলার তদন্তও মার খেতে পারে। সরকারি কৌঁসুলি বলেন, বীরভদ্র হলেন 'রাজ্যের মাথা, রাজা', তিনি জামিন পেলে আদালতে কেউই সাহস করে সাক্ষ্য দিতে আসবে না।
তবে বীরভদ্র ও অন্য অভিযুক্তরা দাবি করেন, মামলার তদন্ত সম্পূর্ণ হয়েছে, সিবিআই ইতিমধ্যে চার্জশিটও জমা দিয়েছে। যদিও তদন্ত এখনও চলছে, ওঁরা জামিন পেলে তা মার খাবে বলে জানায় সিবিআই। জামিন চেয়ে বেশ কিছু মেডিকেল রিপোর্টের উল্লেখ করেও ৮২ বছর বয়সি বীরভদ্র দাবি করেন, তিনি নানা জটিল রোগে ভুগছেন। জামিন পেলে তাঁরা নিজেদের মামলার দিকে আরও বেশি নজর দিতে পারবেন বলেও সওয়াল করেন অভিযুক্তরা।
সিবিআই চার্জশিট পেশ করার পর গত ৮মে মুখ্যমন্ত্রী ও অন্য অভিযুক্তদের সমন পাঠায় আদালত।
চার্জশিটে দাবি করা হয়, কেন্দ্রে মন্ত্রী থাকাকালে প্রচুর সম্পত্তি করেছেন বীরভদ্র, যা তাঁর ঘোষিত আয়ের সঙ্গে মানানসই নয়।
মামলাটি সুপ্রিম কোর্ট পাঠিয়েছিল দিল্লি হাইকোর্টে। গত বছরের ৬ এপ্রিল দিল্লি হাইকোর্ট সিবিআইকে বীরভদ্রকে গ্রেফতার না করার নির্দেশ দেয়, পাশাপাশি তাঁকেও তদন্তে যোগ দিতে বলে।