বোর্ডকে দেওয়া নিজের পদত্যাগ পত্রে সিক্কা লিখেছেন, তিনি এখনও মনে করেন ইনফোসিসের যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু তাঁকে উদ্দেশ্য করে যে ক্রমাগত ব্যক্তিগত আক্রমণ করা হচ্ছিল, সেটা তিনি মেনে নিতে পারেননি। তাঁর কাজে বাধা সৃষ্টি করছিল এই ক্রমাগত নাক গলানোর প্রবণতা। গত কয়েকমাস ধরে তাঁকে উদ্দেশ্যে করে এই ব্যক্তিগত এবং নেতিবাচক আক্রমণ চলছিল। এরফলে সংস্থার উন্নতিতে ম্যানেজমেন্টের ভূমিকা কমছিল, পদত্যাগ পত্রে অভিযোগ সিক্কার।
এই ইস্তফা প্রসঙ্গে দুঃখপ্রকাশ করে বোর্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা সিক্কার ইস্তফার কারণ বুঝেছে, এবং তার সিদ্ধান্তকে সম্মান করছে। তবে এভাবে প্রকাশ্যে বোর্ড সদস্যদের বিরুদ্ধে সিক্কার অভিযোগে তারা যে ক্ষুব্ধ সেকথা জানানো হয়েছে সংস্থার পক্ষ থেকে। এমনকি বোর্ডের দাবি, তারা সিক্কার অভিযোগ খতিয়ে দেখতে গত কয়েকমাসে পূর্ণাঙ্গ তদন্তও চালিয়েছে। কিন্তু অভিযোগের স্বপক্ষে সঠিক কোনও প্রমাণ পায়নি। বোর্ডের দাবি, এধরনের অভিযোগ সংস্থার কর্মীদের মনোবলে আঘাত করে, এছাড়া একজন দক্ষ সিইওকেও হারাল তারা।
আপাতত সংস্থার সিওও ইউবি প্রবীণ রাও অন্তর্বর্তীকালীন ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং সিইও হিসেবে দায়িত্ব সামলাবেন। সিক্কার আচমকা ইস্তফায় সংস্থার শেয়ার পাঁচ শতাংশ পড়ে গেছে। সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে এক্সিকিউটিভ ভাইস চেয়ারম্যানের পদে আপতত বহাল থাকবেন সিক্কা। এছাড়া দফতরের সমস্ত কাজের দেখাশোনাও তিনি করবেন, যতদিন না স্থায়ী পদে সিইও এবং এমডি হিসেবে কেউ নিযুক্ত হচ্ছেন।৩১ মার্চ, ২০১৮ আগে, শূন্য পদে নতুন লোক নিয়োগ হবে।