বেঙ্গালুরু: ২ কোটি ঘুষের বিনিময়ে জেলে বহাল তবিয়তে রয়েছেন এআইএডিএমকে নেত্রী শশীকলা। এ কথা প্রকাশ্যে এনে শোরগোল ফেলে দিয়েছিলেন কর্নাটকের প্রাক্তন ডিজি (কারা)  ডি রূপা। এবার অভিযোগের স্বপক্ষে দুর্নীতি দমন ব্যুরো (এসিবি)-র কাছে একটি ভিডিও ফুটেজ জমা দিয়েছেন রূপা। ওই ভিডিও ফুটেজে সাধারণ পোশাকে শশীকলাকে বাইরে থেকে সেন্ট্রাল জেলে ঢুকতে দেখা গিয়েছে।সঙ্গে অপর সাজাপ্রাপ্ত আত্মীয় এলাভারসি। ওই ফুটেজ বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘোরাফেরা করছে। ফুটেজে প্রহরী গেট খুলে দেওয়ার পর দুই মহিলাকে ব্যাগ হাতে পরাপান্না অগ্রহরা সেন্ট্রাল জেলে ঢুকতে দেখা যাচ্ছে। এই ফুটেজ দেখে প্রশ্ন উঠেছে, শশীকলাকে কি জেলের বাইরে বেরোতে দেওয়া হয়েছিল? কয়েদিদের পোশাক ছেড়ে সাধারণ পোশাকে জেলের বাইরে সময় কাটিয়ে জেলে ঢুকছেন তিনি?


আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তি মামলায় কারাদণ্ডপ্রাপ্ত শশীকলা ওই জেলেই রয়েছেন।সেই সঙ্গে এলাভারসি ও শশীকলার অপর এক আত্মীয় ভিএন সুধাকরনও ওই জেলে রয়েছেন।

জেলের কোনও অংশে বা কবে ওই ভিডিও তোলা হয়েছে, তা ভিডিওতে স্পষ্ট নয়।

ডিজি (কারা) নাহার সিংহ মেঘারিক অবশ্য বলেছেন, ওই ফুটেজ সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না।

তিনি আরও বলেছেন, জেলে শশীকলাকে বিশেষ সুবিধা দেওয়ার অভিযোগ নিয়ে তদন্তের জন্য গঠিত এক সদস্যের কমিটি এখনও রিপোর্ট জমা দেয়নি। রিপোর্ট জমা পড়ার পরই জানা যাবে, বাস্তবে কী ঘটনা ঘটেছিল।

রূপা অবশ্য জানিয়েছেন, এসিবি-র কাছে তিনি গত ১৯ আগস্ট তথ্যপ্রমাণ জমা দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, গত ১৩ জুলাই শশীকলাকে বিশেষ সুবিধা দেওয়ার অভিযোগ রূপা করেন। তাঁর অভিযোগ ছিল, জেল আধিকারিকদের ২ কোটি টাকা ঘুষ দিয়ে হাত করেছেন শশীকলা। জেলে তৈরি হয়েছে ঝাঁ চকচকে রান্নাঘর। এরপরই সরকার ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল। তিনি তাঁর উর্দ্ধতন অফিসার ডিজিপি (কারা) এইচ এস সত্যনারায়ণ রাওয়ের বিরুদ্ধেই সরাসরি অভিযোগের আঙুল তোলেন। কারা বিভাগেই দুই পদস্থ কর্তার প্রকাশ্যে বাকযুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে উচ্চপর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া।